Advertisement
E-Paper

ভর্তিতে শিক্ষকদের মতামত চাইল জুটা

যাদবপুরে এমনিতে কলা বিভাগের বেশির ভাগ বিষয়ে ভর্তি নেওয়া হয় প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২০ ০৫:২১
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে ১০ অগস্ট থেকে অনলাইনে কলেজে ভর্তি নিতে হবে বলে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। এই অবস্থায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে কবে কী ভাবে ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মতামত জানতে চাইল শিক্ষক সমিতি জুটা।

যাদবপুরে এমনিতে কলা বিভাগের বেশির ভাগ বিষয়ে ভর্তি নেওয়া হয় প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু অতিমারির বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সম্ভব নয় বলে কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। তবে প্রবেশিকার বদলে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি প্রক্রিয়া কী ভাবে চালানো হবে, সেই প্রশ্ন উঠছে।

করোনার প্রকোপে এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন-সহ ১৪টি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। পরীক্ষিত বিষয়গুলির মধ্যে যেটিতে পড়ুয়া সর্বাধিক নম্বর পেয়েছেন, নতুন নিয়মে তার ভিত্তিতেই অপরীক্ষিত বিষয়ে নম্বর দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন উঠছে, পদার্থবিদ্যা, রসায়নের মতো বিষয়ে যাঁরা অনার্স পড়তে ইচ্ছুক, তাঁদের মেধা কী ভাবে যাচাই হবে? উচ্চ মাধ্যমিকে কোনও ছাত্র বা ছাত্রী হয়তো বাংলা বা ইংরেজিতে সব চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছেন। এ বারের মূল্যায়নের নিয়ম মেনে অপরীক্ষিত বিষয় রসায়নেও তাঁকে সেই নম্বর দিতে হয়েছে। তিনি রসায়নে অনার্স পড়তে চাইলে ওই বিষয়ে তাঁর দক্ষতা যাচাই করা হবে কী ভাবে? তিনি তো রসায়নে ভাল নম্বর পেয়েছেন বাংলা বা ইংরেজিতে উজ্জ্বল ফলের সুবাদে?

জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘আমরা চাই, ছাত্রছাত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে স্বাধীনতা দেওয়া হোক। প্রয়োজনে বিচার্যের মধ্যে আনা হোক মাধ্যমিকের ফলাফলকেও।’’ ওই শিক্ষক-নেতা জানান, আগে বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে মাধ্যমিকের ভৌতবিজ্ঞান ও গণিতের নম্বর বিচার্য ছিল। এ বার জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন পরীক্ষা এখনও হয়নি। ওই পরীক্ষার ফল বেরোলে বিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তি হওয়া অনেক ছাত্রছাত্রীর মধ্যে চলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেবে।

এ দিকে, অনলাইনে ভর্তির পরীক্ষা কোনও পরিস্থিতিতেই নেওয়া যাবে না বলে ছাত্র সংগঠন এসএফআই উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, ভর্তির জন্য আবেদনের খরচ এবং সিমেস্টার ফি মকুব করতে হবে। রাজ্য সরকার যদিও বলেছে ছাত্রছাত্রীরা যখন ক্লাস করতে যাবেন, নথিপত্র তখনই পরীক্ষা করা হবে। কিন্তু এসএফআই দাবি তুলেছে, করোনা-কালে কোনও রকম ঝুঁকি না-নিয়ে ক্লাস করার আগেই কী ভাবে নথি পরীক্ষা করা যায়, তা দেখতে হবে কর্তৃপক্ষকে। স্বশাসন বিধি মেনেই বিশ্ববিদ্যালয়কে কাজ করার দাবি জানিয়েছে এসএফআই।

JUTA Admission Higher Secondary Exam 2020
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy