তাদের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা ‘আইপ্যাক’-এর কাজকর্মে কি শাসক দলের একাংশ ক্ষুব্ধ? তেমনই জল্পনা উস্কে দিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার প্রথম বৈঠক হয় ধনেখালির বেলমুড়ি কমিউনিটি হলে। সেখানেই কল্যাণ ‘আইপ্যাক’-এর নাম করে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, ‘‘এত দিন যে ভাবে দল চলত, এখন আর তা হবে না। কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে দুঃখিত, আমি আর কিছু করতে পারব না। স্নেহাশিসও নয় (দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তী)। আইপ্যাক সংস্থা দলের কেন্দ্রীয় স্তরকে রিপোর্ট পাঠাচ্ছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সব কিছু স্থির হবে। কাকে সৎ আর কাকে ওরা অসৎ বলবে আমার তা জানা নেই।’’
এখানেই শেষ নয়। দলের নেতাদের সম্পর্কে ‘আইপ্যাক’-এর রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘‘আমার একটাই অনুরোধ, রিপোর্ট আপনারা দিন। কিন্তু আমরা যাঁরা ৩৮-৪০ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে দল করেছি, সিপিএমের গুলির সামনে লড়াই করেছি, সেই সব যোদ্ধাদের অতীত ইতিহাসকে একটা কলমের খোঁচায় আপনারা মুছে দেবেন না। এটা হতে পারে না। তৃণমূলকে দুর্বল করবেন না। দয়া করে সত্যি রিপোর্টটা দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবেসে আমরা দল করেছি। একটা রিপোর্টের খোঁচায় তা উড়ে যেতে পারে না। যোগ্য কর্মীকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।’’
কল্যাণের এই বক্তব্য নিয়ে স্নেহাশিস কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘‘শ্রীরামপুরের সাংসদ বর্ষীয়ান নেতা। ওঁর দুঃখের কথা উনি বলেছেন। এ নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারব না।’’