Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ বার একটু স্বস্তি!

এ দিন সাতসকালে বুথে বুথে ঘুরে খোঁজখবর শুরু করেন কানাইয়ালাল। প্রথমে বাড়িতে বসে বিভিন্ন বুথ এলাকায় দলের কর্মীদের ফোন করে খোঁজ নেন।

মেহেদি হেদায়েতুল্লা
ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৯ ০২:৫৬
Share: Save:

গত ১৮ এপ্রিল নিজের ভোট শেষ হতেই আর একটা ভোটের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন। নিজের ভোট শেষ হওয়ার সাতদিনের মাথায় ফের নামতে হয় প্রচারে। রবিবার দিনভর সেই ভোটের পরিচালনায় ব্যস্ত রইলেন কানাইয়ালাল আগরওয়াল।

এই আসনের তৃণমূল প্রার্থী আব্দুল করিম চৌধুরীর হয়ে ভোট পরিচালনা করার দায়িত্ব পড়েছিল কানাইয়ালালের উপর। তাই ভোট করানো থেকে গন্ডগোলের খবরে দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করা— সবটাই হাসিমুখে সামাল দিলেন। বিকেল গড়তেই হাঁফ ছেড়ে বললেন, ‘‘উফ্! এবার একটু স্বস্তি!’’ গত বিধানসভা ভোটে তিনি কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে এই করিমকেই হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। ইসলামপুর বিধানসভা এলাকা তাই তাঁর গড় বলেই পরিচিত।

এ দিন সাতসকালে বুথে বুথে ঘুরে খোঁজখবর শুরু করেন কানাইয়ালাল। প্রথমে বাড়িতে বসে বিভিন্ন বুথ এলাকায় দলের কর্মীদের ফোন করে খোঁজ নেন। এই গরমে মাথা ঠান্ডা রেখে ভোট করানোর নির্দেশ দেন কর্মীদের। এর মধ্যেই খবর আসে, বেশ কিছু বুথে ইভিএম মেশিন খারাপ। নিজে ইসলামপুর বাজার হিন্দি
এফফি স্কুলের বুথে ১০টায় ভোট দেন। এই বুথে মেশিন খারাপ হওয়ার খবর পেয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান। পরে মেশিন পাল্টে দেওয়া হয়। গরমে অনেক ভোটার আসছেন না শুনে দলের কর্মীদের উদ্যোগী হতে বললেন। এরই মাঝে ফোনে মাদারিপুরে একটি বুথে গন্ডগোল, উত্তেজনা, সড়ক অবরোধের খবর পেলেন। শুনেই কর্মীদের নির্দেশ দিলেন, কেউ যাতে বিরোধীদের ফাঁদে পা না দেন।

বেলা ১০.৩০ নাগাদ করিম ইসলামপুর পুরাতনপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথে যান ছোটছেলে ইমদাদকে নিয়ে। সেখানে নিজে
ভোট দেন। তারপর চলে যান ইসলামপুর বাজার বুথে। সেখানে তখন ছিলেন কানাইয়ালাল। দু’জনে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলেন। করিম বলেন, ‘‘ভাল সারা পাচ্ছি। ভোট ভাল হয়েছে।’’ কানাইয়ালাল বলেন, ‘‘এটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা। দলের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য লড়াই করছি।জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE