তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লিখন। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে। বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর তো প্রচারের রূপরেখা তৈরি হচ্ছে। তবে এখনও ‘শক্ত ঘাঁটি’ খড়্গপুরের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করে উঠতে পারল না বিজেপি।
জেলার রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই বিজেপি এখনও প্রার্থী ঠিক করে উঠতে পারেনি। তবে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত গেরুয়া শিবির। বিজেপির জোনাল আহ্বায়ক তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “দিলীপ ঘোষকে সামনে রেখে আমাদের দল জিতবে।”
তৃণমূলে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘিরে জলঘোলা কম হয়নি। পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার ও জেলা নেতা তথা শহরের কাউন্সিলর দেবাশিস চৌধুরীকে নিয়ে টানাপড়েন চলছিল। শেষে প্রদীপের নাম ঘোষিত হয়। তারপরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। শহরের এক তৃণমূল নেতার কথায়, “আমাদের সকলেই দলের হয়েই কাজ করবে। তবে প্রার্থী জিতবে কিনা বলতে পারছি না।” দেবাশিস ‘ঘনিষ্ঠ’ এক নেতা আবার ফেসবুকে লিখেছেন, “উপেক্ষিত হতে হতে কেউ যদি পক্ষ বদলে কর্ণ হয়ে যায় তবে কি খুব অন্যায় হবে?”
তৃণমূল সূত্রে খবর, কোন্দল কাঁটা এড়িয়ে জয় নিশ্চিত করতে বিজেপির ভোট ভাঙতে চাইছেন তৃণমূল প্রার্থী। প্রদীপ বলেন, “আমাদের সবাই একসঙ্গে কাজ করবে। সবাই আমাকেই ভোট দেবে বলছে। তা
ছাড়া, বিজেপির ভোটও আমি পাব।” আর শহরে প্রদীপের বিরোধী বলে পরিচিত দেবাশিস বলছেন, “গত লোকসভা ও বিধানসভার প্রেক্ষাপট আলাদা। বিজেপির ভোট ভাঙলে আমাদের প্লাস হবে।”
এ দিন শহরে এসে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে একসঙ্গে কাজের বার্তা দেন। পরে তিিনও বলেন, ‘‘সব মতপার্থক্য মিটে গিয়েছে। বিজেপির ভোটও পাব।’’
এ দিকে, একটি ভিডিয়োয় (সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ ও শহরের বিজেপি নেতা প্রেমচাঁদ ঝা-কে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। ভোটের মুখে তা নিয়ে জোর জল্পনাও হচ্ছে। যদিও ভিডিয়ো প্রসঙ্গে প্রদীপের দাবি, ‘‘এই ভিডিয়ো বহু পুরনো। আমি পুরপ্রধান। বিধায়ক প্রতিনিধি হিসাবে প্রেমচাঁদ বহুবার আমার কাছে আসতেন। সেই সময় কোনও কথপোকথন হতে পারে। এ নিয়ে রাজনীতি করে লাভ নেই।’’ আর বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী প্রেমচাঁদ বলেন, ‘‘ভিডিয়ো সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। বিধায়ক প্রতিনিধি হিসাবে আমি বহুবার পুরপ্রধানের কাছে গিয়েছি, কথা বলেছি। তবে সম্প্রতি কোনও কথা হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy