বাঁচানো গেল না খড়গ্রামের রাজনৈতিক সংঘর্ষে আহত মাধব মারজিতকে। শনিবার পিজিতে বাবার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে ছেলে অরিন্দম মারজিত।—নিজস্ব চিত্র
সামনেই একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ। তার আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণ গেল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধানসভা ভোটের প্রার্থী মাধব মারজিতের। ভোটের পর বিরোধীরা যখন রাজ্য জুড়ে তাঁদের ওপর তৃণমূলের আক্রমণের অভিযোগ করছেন, তখন এই ঘটনা পাল্টা অভিযোগ তোলার সুযোগ করে দিল শাসক দলকে।
খড়গ্রাম ব্লকের সাদল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন মাধববাবু। গত ৫ জুলাই বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ওই রাতেই মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় তাঁকে এনে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু ১১ দিন ধরে চিকিৎসা করেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এ দিন তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং পরিবহণ মন্ত্রী এবং দলের তরফে মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অধিকারী। দুই মন্ত্রীই মাধববাবুর মৃত্যুর পিছনে বিরোধীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর নাম না করেও ফিরহাদের মন্তব্য, ‘‘যিনি নিজেকে মুর্শিদাবাদের ডন বলে মনে করেন, তিনিই ওখানে খুনের রাজনীতির হোতা। যারা মুর্শিদাবাদে বসে এমন খুনের রাজনীতি করছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই খুন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে।’’ ফিরহাদের সুরেই শুভেন্দুও বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের কাউকেই ছাড়া হবে না।’’ আবার দলের কর্মী খুন হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দিল্লি থেকে ফোনে এই দুই মন্ত্রীর কাছে খোঁজখবর নেন।
সন্দেহ নেই এই খুনের ঘটনার রাজনৈতিক প্রভাব এ বার মুর্শিদাবাদে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অধীরবাবু অবশ্য অভিযোগ খারিজ করে বলেন, ‘‘তৃণমূলের কোনও কর্মী খুন হলেই ওরা কংগ্রেসের দিকে আঙুল তোলে। এই খুনের সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই।’’ এই মৃত্যুকে দুঃখজনক বলে অধীর বলেন, ‘‘মাধববাবু খুব ভালমানুষ ছিলেন। অতীতে কংগ্রেসের হয়ে উনি বিধানসভায় প্রার্থী হয়েছিলেন। এ রাজ্যের এমন পরিস্থিতি যে পরাজিত প্রার্থীকেও খুন হতে হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করুক। দোষীকে চরম শাস্তি দিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy