Advertisement
E-Paper

পুরমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে জমি দখল

সূত্রের খবর, দখলদারির খবর পেয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (ববি) নিজেই কেএমডিএ-র অফিসারদের সতর্ক করেছেন।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৯ ০৪:১৮
দখল হওয়া কেআইটি-র জমি। —নিজস্ব চিত্র।

দখল হওয়া কেআইটি-র জমি। —নিজস্ব চিত্র।

তিনি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। কলকাতা মেট্রোপলিটান উন্নয়ন পর্যদের (কেএমডিএ) চেয়ারম্যান। অথচ তাঁর বাড়ির অদূরেই দখল হয়ে গিয়েছে সাবেক কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (কেআইটি)-এর জমি!

সূত্রের খবর, দখলদারির খবর পেয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (ববি) নিজেই কেএমডিএ-র অফিসারদের সতর্ক করেছেন। কারণ, কেআইটি-র এখন আর কোনও অস্তিত্ব নেই। সংস্থাটি কেএমডিএ-র সঙ্গে মিশে গিয়েছে। মন্ত্রীর ফোন পাওয়ার পরে শনিবারই এফআইআর দায়ের করেছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। ঠিক হয়েছে, ভোট মিটে গেলে পুলিশ ও কলকাতা পুরসভা মিলিত ভাবে ওই জমিটি দখলদার মুক্ত করবে।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, চেতলায় পুরমন্ত্রীর বাড়ির কাছে ৪৪এ জইনুদ্দিন মিস্ত্রি লেনে কেআইটি-র ১৭ কাঠা জমি রয়েছে। সেখানে মধ্যবিত্তদের জন্য সাততলা আবাসন তৈরি করে বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে কেএমডিএ-র। কিন্তু সেই জমির একটা অংশ দখল হয়ে গিয়েছে বলে খবর পান ববি। তিনি কেএমডিএ-র অফিসারদের ফোন করে জমিটি দেখা আসার নির্দেশ দেন। শনিবার অফিসারেরা গিয়ে দেখেন, জমিতে ঢোকার মুখে তিন কাঠা অংশ দখল করে হোটেল, দোকান চলছে। বাড়িও তৈরি হয়ে গিয়েছে। এর পরই চেতলা থানায় আট দখলদারের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন তাঁরা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

জমি বেদখলের ঘটনায় ক্ষোভ গোপন থাকেনি ববির মন্তব্যে। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি কর্মী-অফিসাররা নিজেদের কাজটুকু করলে মন্ত্রীকে দখল হয়ে যাওয়া জমি খুঁজে দিতে হয় না। এ নিয়ে মাথা ঘামানো মন্ত্রীর কাজ হতে পারে না। আশা করব, দফতরের কর্মী-অফিসাররা এখন থেকে সজাগ থাকবেন।’’

KIT Firhad Hakim Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy