প্রতীকী ছবি।
নেশা তাঁর ট্রেকিং আর বন-জঙ্গল ও বন্যপ্রাণীর ছবি তোলা। হিমাচলে ঘুরতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন, তা-ও এক মাসের বেশি হয়ে গেল। সেই থেকেই নিখোঁজ নদিয়ার চাকদহ পালপাড়ার পার্থচন্দ্র বারিক। হিমাচলপ্রদেশ পুলিশ এবং সেনার সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁর খোঁজ মেলেনি।
বছর বত্রিশের পার্থর বাড়ির লোকজনের দাবি, সঙ্গে এক বন্ধুও গিয়েছেন বলে তাঁরা জানতেন। পার্থর খোঁজ না মিললেও, তাঁর সেই বন্ধুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে। কিন্তু তাঁর কথাবার্তাও অসংলগ্ন। চাকদহ থানায় তাঁরা ডায়েরি করেছেন। তবে পুলিশ পার্থর ওই বন্ধুর নামে লিখিত অভিযোগ নেয়নি। নদিয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার অবশ্য জানান, তাঁরা গুরুত্ব দিয়েই বিষয়টি দেখছেন।
পার্থদের বাড়ি চাকদহে পালপাড়া একতাপুরে। যৌথ পরিবার। পার্থ তাঁর বাবার সঙ্গে পারিবারিক দোকান দেখাশোনা করেন। তাঁর দাদা, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার রাকেশচন্দ্র বারিক কর্মসূত্রে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকেন। বাড়ি থেকে রওনা পরে তাঁর সঙ্গেই পার্থর শেষ কথা হয়েছিল। রাকেশ বলেন, ‘‘২১ মে ও রওনা দেয়। পরের দিন সন্ধ্যায় আমি ফোন করলে জানায়, ও তখন চণ্ডীগড়ে। সঙ্গে এক বন্ধু রয়েছে। তার নামও বলে। সেখান থেকে ওরা যাবে পার্বতী উপত্যকায়। এর পরে আর যোগাযোগ হয়নি।’’
দিন পনেরো ঘুরে পার্থর ফেরার কথা ছিল। তাঁর মা সোমা জানান, ওই সন্ধের পর থেকেই পার্থর মোবাইল বন্ধ। বিষয়টি জেনে হ্যাম রেডিয়ো সংগঠন খোঁজে নামে। ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিয়ো ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস জানান, পার্বতী উপত্যকা এবং আশপাশের কোনও হাসপাতাল বা থানায় পার্থর খোঁজ মেলেনি। স্থানীয়রাও তাঁর ছবি দেখে চিহ্নিত করতে পারেননি। পার্থ ফোনে যে বন্ধুর নাম বলেছিলেন, রাকেশ তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। বন্ধুটি জানান, তিনি মুম্বইয়ে। পার্থর সঙ্গে তাঁর হিমাচলে যাওয়ার কথা থাকলেও, শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করেন। তবে রাকেশের দাবি, তাঁকে ট্রেনের বাতিল টিকিটের ছবি পাঠাতে বললেও তিনি তা পাঠাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy