ঘূর্ণিঝড়ের জেরে পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা। —ফাইল ছবি
আশঙ্কাই সত্যি হল, রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে বর্ষাসুর! সোমবার পিতৃপক্ষ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার দেবীপক্ষের সূচনা। ছেলেপুলে নিয়ে বাপের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবেন উমা। কিন্তু, সেই আগমনের আগেই বাধা হয়ে দাঁড়াল নিম্নচাপ।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দিন গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে আন্দামানের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। ওই গভীর নিম্নচাপের জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে। নিম্নচাপের জেরে একটি ঘূর্ণিঝড় শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলের দিকে। পূর্বাভাসে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজ্যে আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই বৃষ্টিশুরু হবে। ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ এখনও পর্যন্ত রাজ্য ঘেঁষে ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে রয়েছে। তার প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিন টানা বৃষ্টিহওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপ না সরলে পুজোর সময়েও বৃষ্টি চলবে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাস বলেন, “বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তার জেরেই বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হবে।”
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরও পড়ুন: ঐন্দ্রিলার পুজোর হুল্লোড় শুরু, কার সঙ্গে জানেন?
হাওয়া অফিস সূ্ত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সব থেকে বেশি বৃষ্টিহবে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, বর্ধমান এবংমুর্শিদাবাদে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই গিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশে ফিরে আসার সতর্কবার্তাও জারি করা হয়েছে।
আরও পডু়ন: সারদা মামলায় আপনি কি রাজসাক্ষী? কিছু বললেন না কুণাল ঘোষ
আগেই হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, পুজোর মুখে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন তাতেই সিলমোহর পড়ল যেন। আশঙ্কাকে সত্যি করে মহালয়ার দিনই গভীর নিম্নচাপ তৈরি হলবঙ্গোপসাগরে। পুজোর চারদিনের জন্য বছরভর অপেক্ষা করে থাকে রাজ্যবাসী। কাজেই সেই সময়ে বৃষ্টি হতে পারে, এই খবরে সকলের কপালেই উদ্বেগের ভাঁজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy