Advertisement
E-Paper

ভিজিল্যান্স কর্তা বলে প্রতারণা, ধৃত যুবক

গোয়েন্দারা জানান, কসবার রাজডাঙা এলাকার গোল্ড পার্কের বাসিন্দা অমিতকুমার পাল জানুয়ারি মাসে টাকা হাতানোর অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল দীপায়ন।

নিজস্ব সংবাদাদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ০২:২০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আদতে একটি বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু, বিয়ে করার ছুতো তুলে পরিচয় দিয়েছিল রেলের ভিজিল্যান্স কর্তা হিসেবে। সেই পরিচয়ে মেয়ের বাবাকে ফোনে ভয় দেখিয়ে হাতিয়েছিল পৌনে দু’লক্ষ টাকা। এমনই অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার জগদ্দল থেকে পুলিশ দীপায়ন মুখোপাধ্যায় নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করল। শুক্রবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

গোয়েন্দারা জানান, কসবার রাজডাঙা এলাকার গোল্ড পার্কের বাসিন্দা অমিতকুমার পাল জানুয়ারি মাসে টাকা হাতানোর অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল দীপায়ন। ১৯ জানুয়ারি সে অমিতবাবুর বাড়িতে তাঁর মেয়েকে দেখতে আসে। মেলামেশা করারও চেষ্টা করে। কিন্তু মেয়ের কোনও কারণে সন্দেহ হয়, বছর পঁয়তাল্লিশের ওই যুবক আর যাই হোন, রেলের ভিজিল্যান্স কর্তা নন। তিনি বাবাকে জানিয়ে দেন, ওই যুবককে বিয়ে করবেন না।

পুলিশ জেনেছে, সুবিধা করতে না পেরে দীপায়ন এক দিন ফোনে গলার স্বর বদলে অমিতবাবুকে জানায়, তাঁর নাম অপরেশ রায়। তিনি রেলের চিফ ভিজিল্যান্স অফিসার। অমিতবাবুর মেয়েকে বিয়ে করতে না পেরে দীপায়ন আত্মহত্যা করেছেন। সুইসাইড নোটে তিনি অমিতবাবু ও তাঁর মেয়েকেই দায়ী করে গিয়েছেন। সিবিআই গ্রেফতার করতে চলেছে অমিতবাবুকে।

ওই ফোন পেয়ে ঘাবড়ে যান অমিতবাবু। তা বুঝে দীপায়ন ফের গলার স্বর বদলে জানায়, লাখ দু’য়েক টাকা পেলে সে তাঁকে বাঁচাতে পারে। অপরেশ রায়ের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা দিতে বলে অভিযুক্ত। অমিতবাবুর সঙ্গে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকায় রফা হয় দীপায়নের। পুলিশের দাবি, এর আগেও পরিচয় ভাঁড়িয়ে এমন কাজ করেছে ওই যুবক।

Crime Cheating
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy