Advertisement
E-Paper

ইদের আগের রাতে দু’টি দুর্ঘটনা, মৃত ৩

শুক্রবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ কড়েয়া থানা এলাকার তিলজলা রোডে দুর্ঘটনায় পড়ে ওই কিশোরদের বাইকটি। পুলিশ জানায়, ওই তিন কিশোরের কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৮ ০২:১৭
পার্ক সার্কাসে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মোটরবাইক। —নিজস্ব চিত্র

পার্ক সার্কাসে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মোটরবাইক। —নিজস্ব চিত্র

ইদের আগের রাতে দ্রুত গতিতে মোটরবাইক নিয়ে যাওয়ার সময়ে মৃত্যু হল বছর পনেরোর দুই কিশোরের। তাদের নাম আকবর আলি ওরফে আয়ুব এবং মহম্মদ ফারুখ ওরফে ফইজান। দু’জনের বাড়িই তপসিয়া থানা এলাকার তিলজলা রোডে। এই ঘটনায় জখম হয়েছে ওই এলাকারই আর এক কিশোর। ওই রাতে গর্ডেনরিচের পাহাড়পুর রোডেও একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে অলককুমার আদক (৬০) নামে ফতেপুরের ফার্স্ট লেনের এক বাসিন্দার।

শুক্রবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ কড়েয়া থানা এলাকার তিলজলা রোডে দুর্ঘটনায় পড়ে ওই কিশোরদের বাইকটি। পুলিশ জানায়, ওই তিন কিশোরের কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচলতি লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জেনেছে, পার্ক সার্কাস চার নম্বর ব্রিজ ধরে বেপরোয়া গতিতে নামছিল বাইকটি। ব্রিজের পূর্ব দিকের ঢালে পৌঁছে মোটরসাইকেলটি পিছলে যায়। পুলিশের অনুমান, রাস্তার একটি গর্তে মোটরসাইকেলের চাকা পড়ে যাওয়ায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারায়। পড়ে যাওয়ার পরে পিছন থেকে আসা কোনও গাড়িও আকবরকে ধাক্কা মারে বলে অনুমান পুলিশের। কারণ আকবরের মাথায় গুরুতর চোট ছিল। রাতেই চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিন জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, আকবরকে মৃত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শনিবার হাসপাতালে মৃত্যু হয় ফাইজানেরও।

গার্ডেনরিচের দুর্ঘটনাটি ঘটে রাত পৌনে দশটা নাগাদ। পুলিশ জানায়, পাহাড়পুর রোডে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে অজ্ঞাতপরিচয় এক মোটরবাইক আরোহী অলকবাবুকে ধাক্কা মেরে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। রাতেই ওই ব্যক্তিকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ মোটরবাইকটি বাজেয়াপ্ত করেছে।

লালবাজারের এক ট্র্যাফিক কর্তা শনিবার জানান, কিছু কিছু এলাকায় ১৮ বছরের কম বয়সী ছেলেদের খুব জোরে মোটরসাইকেল চালানোর ঝোঁক রয়েছে। কিন্তু ওই বয়সে গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পাওয়ারই কথা নয়। স্থানীয় ট্র্যাফিক গার্ডগুলির অফিসারেরা একাধিক বার সেই সব এলাকার ক্লাব-কর্তাদের এ বিষয়ে স্থানীয়দের সচেতন করতে অনুরোধ করেছেন। তা সত্ত্বেও কিশোরদের হাতে মোটরসাইকেল দেওয়ার প্রবণতা কমেনি। পুলিশের অভিযোগ, এর সঙ্গে হেলমেট না পরে বাইক চালানোর প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে বলেও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

Accident Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy