প্রতীকী ছবি।
বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজার কাছে পণ্য বোঝাই গাড়ি থেকে জোর করে টাকা আদায়ের ঘটনার তদন্ত রিপোর্টে অভিযুক্ত করা হল দায়িত্বে থাকা সাত পুলিশকর্মীকে। লালবাজারে জমা পড়া ওই ঘটনার দু’টি পৃথক রিপোর্ট ওই সাত জনের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির কথা বলছে।
২৭ মার্চ গভীর রাতে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজ়ায় ডিউটিতে ছিলেন ট্র্যাফিক পুলিশ, হেস্টিংস থানা এবং ব্যাটেলিয়নের পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ ওঠে, ওই সময়ে তাঁরা মুরগি বোঝাই গাড়ি এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের গাড়ি থামিয়ে জোর করে টাকা আদায় করছিলেন। পরদিন এক ব্যবসায়ীর তরফে লালবাজারের এক কর্তার কাছে সরাসরি অভিযোগ জানানো হয়। প্রথমে যৌথ ভাবে তদন্ত করেন ডিসি (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমার এবং ডিসি (দক্ষিণ) মিরাজ খালিদ। প্রাথমিক ওই রিপোর্টের পরেই গত শনিবার চার জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করে লালবাজার। যাঁদের মধ্যে ছিলেন বিদ্যাসাগর ট্র্যাফিক গার্ডের মন্দিরতলা ফাঁড়ির দুই অফিসার। বাকি দু’জন হেস্টিংস থানার বিদ্যাসাগর ফাঁড়ির পুলিশকর্মী।
ঘটনাটির গুরুত্ব বুঝে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ বিভাগ এবং ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) বিভাগের দুই এসিকে পুরো ঘটনার পৃথক ভাবে তদন্ত করতে বলা হয়েছিল। চলতি সপ্তাহে সেই দুই রিপোর্ট জমা পড়েছে শীর্ষ কর্তাদের কাছে।
দু’টি রিপোর্টেই সাসপেন্ড হওয়া চার পুলিশ অফিসার ছাড়া আরও তিন জনের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এক জন হোমগার্ড ও ব্যাটেলিয়নের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি পুলিশ আধিকারিকেরা।
সূত্রের দাবি, তদন্তে দুই এসি বিদ্যাসাগর সেতুর একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। দেখা যায়, সাসপেন্ড হওয়া চার জন পণ্যবাহী গাড়ি থেকে সরাসরি টাকা তোলায় জড়িত। বাকিদের সিসি ক্যামেরায় দেখা না গেলেও ঘটনাস্থলে থাকা কয়েক জন পুলিশকর্মীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। তাতেই বাকিদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির একাধিক প্রমাণ মেলে। এর পরেই তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয় রিপোর্টে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy