—প্রতীকী চিত্র।
একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম সুব্রত বারুই, অলক দাস এবং বিশ্বজিৎ হাওয়ালদার। উদ্ধার হয়েছে একাধিক জাল সিম কার্ড এবং বায়োমেট্রিক যন্ত্র। পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় প্রতারিত হয়েছেন পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তার মেয়ে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের সল্টলেক সেক্টর ফাইভ শাখার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান যে, তাদের এক মহিলা গ্রাহক চাকরির সন্ধান করতে গিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নিজের বায়োডেটা জমা দেন। তার কিছু দিনের মধ্যে ওই ওয়েবসাইটের তরফে তাঁকে ইমেল করে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরির বিষয়ে জানানো হয়। চাকরির জন্য একটি নির্দিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করতেও বলা হয় ওই মহিলাকে। তিনি সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাঁকে ওই ব্যাঙ্কে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন খাতে টাকা চাওয়া হয়। ওই চাকরিপ্রার্থী ব্যাঙ্কে চাকরির আশ্বাস পেয়ে এক লক্ষ ২২ হাজার টাকা প্রতারকদের হাতে তুলে দেন। পরিবর্তে প্রতারক দল তাঁকে ভুয়ো অফার লেটার এবং ভুয়ো নিয়োগপত্র দেয়। এমনকি ভুয়ো মেল আইডি-ও দেওয়া হয় বলে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্তাদের দাবি।
তদন্তে নেমে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ রানাঘাট থানার অন্তর্গত শান্তিপুরে হানা দেয় ও সেখান থেকে ওই তিন জনকে ধরা হয়। এদের মধ্যে অলক এবং সুব্রতের থেকে নথি ছাড়াও পুলিশ মোট ১১৭টি সিম কার্ড এবং দু’টি বায়োমেট্রিক যন্ত্র উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানা-সহ একাধিক থানায় অভিযোগ রয়েছে। এই চক্রে আর কারা জড়িত, তা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশের অনুমান, এর পিছনে কোনও বড় প্রতারণা চক্র রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy