ভোরের আলো ফোটার আগেই দু’টি মোটরবাইকে চেপে পাঁচ যুবক বেরিয়ে পড়তো। কোমরে গোঁজা থাকতো ওয়ান শটার। সালকিয়া থেকে বেলুড় লালবাবা কলেজ এলাকাতে ঘুরে বেড়াতো তারা। সুযোগ বুঝে পথচারীদের আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে লুঠপাট চালিয়ে সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যেই ফিরে যেত নিজেদের আস্তানাতে।
দিন কয়েক আগে বালিতে দু’টি ছিনতাইয়ের ঘটনায় চার যুবককে গ্রেফতারের পরে তাদের জেরা করে আরও এক জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। উদ্ধার হয় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, তিনটি গুলি, ৬টি মোবাইল, এগারোশো টাকা-সহ দু’টি মোটরবাইক। ধৃতদের জি়জ্ঞাসাবাদের পরেই নির্দিষ্ট রুটে ভোরবেলা তাদের ‘অভিযান’ সম্পর্কে জানতে পেরেছে পুলিশ। সোমবার বালি থানায় হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি (উত্তর) স্বাতী ভাঙ্গারিয়া বলেন, ‘‘১৭ সেপ্টেম্বর ভোরে বেলুড় স্টেশন রোড ও বালির মোহনলাল বাহাওয়ালা রোডে দু’টি ছিনতাই হয়। এর পরে রাস্তার সিসিটিভির ফুটেজ দেখেই ওই দলের সূত্র হাতে আসে।’’
ঘটনার পরে বালি-বেলুড়-লিলুয়া থানার পুলিশ একযোগে তদন্তে নামে। সেই সময় বেলুড় এলাকার একটি সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় ছিনতাইয়ের ঘটনার সময়ের একটু পরেই ওই এলাকা দিয়ে তিন যুবক মোটরবাইক চেপে জিটি রোডের দিকে চলে যাচ্ছে। ওই মোটরবাইকের সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে জানা যায়, লিলুয়ার বেলগাছিয়া ভাগাড় এলাকায় ওই যুবকেরা থাকে। সেখানে হানা দিয়ে প্রথমে পুলিশ রোহন রায় ওরফে কালি বিল্লি, অঙ্কিত সিংহ, রোহন বৈরাগ্য ও বাপি মোহান্তি ওরফে নাটা বাপিকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করে শনিবার গভীর রাতে নিশ্চিন্দা থানার শান্তিনগর এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ধরা হয় সুরজ সিংহকে। তদন্তকারীরা জানান, ধৃতদের নামে আগেও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে।
অন্য দিকে রবিবার গভীর রাতে বালি নিমতলার বিওসি গ্রাউন্ড এলাকায় ১১জন যুবক জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে বালি থানার পুলিশ হানা দেয়। পুলিশ দেখে সাত জন চম্পট দিলেও চার জনকে ধরে ফেলে পুলিশ। তাদের কাছে দু’টি ওয়ান শটার, ৫ রাউন্ড গুলি, চপার, লোহার রড উদ্ধার হয়। জেরায় পুলিশ জেনেছে, বালি এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যেই লিলুয়া বেলগাছিয়া ভাগাড় এলাকার ওই যুবকেরা জড়ো হয়েছিল। এসিপি বলেন, ‘‘ছিনতাইয়ের দলের সঙ্গে এই ডাকাত দলের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের সকলে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy