—প্রতীকী চিত্র।
মেটিয়াবুরুজে তরুণের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে খুনের মামলা রুজু করল পুলিশ। তদন্তে নেমে রবিবার রাত পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শেখ সাকিল আহমেদ, শেখ সাবির আহমেদ, শেখ সোহেল আহমেদ, ওবেইদুল্লা হালদার ও হাসিনা বিবি। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, খোঁজ চলছে।
ধৃতদের মধ্যে সাকিল, সাবির এবং সোহেল তিন ভাই। তাঁদের কারখানায় শেখ সাগর (১৯) নামে ওই তরুণ দর্জি কাজ করতেন বলে জেনেছে পুলিশ। শনিবার রাত থেকে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে মেটিয়াবুরুজ এলাকা থেকে তিন ভাই-সহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। হাসিনা বিবিকে গ্রেফতার করা হয় রবিবার রাতে। তাঁকে আজ, সোমবার আদালতে তোলা হবে। অন্য দিকে, ধৃত বাকি চার জনকে রবিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে মেটিয়াবুরুজ থানা এলাকা থেকে সাগরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়েরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়না তদন্তের পরে শনিবার সন্ধ্যায় সাগরের দেহ এলাকায় আসতেই বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ওই তরুণকে খুন করা হয়েছে। দ্বিতীয় বার ময়না তদন্তের দাবিতে পিলখানা মোড়ে দেহ রেখে অবরোধ শুরু হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ওই এলাকা। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। জখম হন দু’জন পুলিশকর্মী। পুলিশের একটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামলাতে র্যাফ নামে।
সাগরের পরিবার জানিয়েছে, গত কয়েক দিন তিনি কাজে না যাওয়ায় কারখানা থেকে বৃহস্পতিবার কয়েক জন তাঁর বাড়িতে আসেন। কেন সাগর কাজে যাচ্ছেন না জানতে চেয়ে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরদিন পাওনা টাকা চাইতে যান সাগর। পরিবারের অভিযোগ, তখনই তাঁকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। মৃতের কাকা বলেন, ‘‘ওকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে।’’ তদন্তকারী এক আধিকারিক বলেন, ‘‘খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy