মৃত যুবকের নাম রাকেশ শর্মা (৩২)। প্রতীকী ছবি।
কারখানায় যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন দাদা। স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেও খোঁজ মিলছিল না। তাই কলকাতার যে এলাকায় ওই যুবক কাজ করতেন, সেখানকার থানায় গিয়েছিলেন ভাই। ফেরার পথে ভাড়া বাড়ির কাছাকাছি রেললাইনের ধারের জটলায় উঁকি মারতেই দেখেন, লাইনের পাশের জঙ্গলে পড়ে দাদার দেহ!
শুক্রবার সকালে বরাহনগরের নোয়াপাড়া এলাকার ঘটনা। মৃত যুবকের নাম রাকেশ শর্মা (৩২)। আগরার বাসিন্দা হলেও মহাত্মা গান্ধী রোডের একটি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। তাঁর ভাই ও বাবা এ রাজ্যে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁরা বরাহনগরের সুভাষপল্লিতে ভাড়া থাকেন। গত ১৭ মে রাকেশ আগরা থেকে কলকাতায় ফেরেন। ভাই বীরেশ বলেন, “ফেরার পরে দাদা এক বন্ধুকে নিয়ে বাড়িতে এসেছিল। বুধবার সন্ধ্যায় কারখানায় যাচ্ছি বলে বেরোয়। কিছু ক্ষণ পর থেকে মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। বরাহনগর থানা ও জিআরপিতে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল।” এ দিন শিয়ালদহ শাখার রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয় রাকেশের পচাগলা দেহ।
স্থানীয় যুবক জয় মণ্ডল বলেন, “ক্লাবের একটি ছেলে লাইনের ধারে শৌচকর্ম করতে গিয়ে দেখে, ঝোপ থেকে একটা হাত বেরিয়ে আছে।” তদন্তকারীদের অনুমান, ট্রেনের ধাক্কায় রেললাইন সংলগ্ন ঝোপে ছিটকে পড়েছিলেন রাকেশ। কিন্তু, মেট্রো ধরে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি রেললাইনের ধারে কেন গিয়েছিলেন, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy