E-Paper

পরভূমে সন্তানের জন্ম, কলকাতার মায়ায় বাঁধা পড়লেন বিদেশিনি

সোমবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছুটির পরে সন্তানকে নিয়েশ হরের অস্থায়ী ঠিকানায় গিয়ে উঠেছেন পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরো লিওনের বাসিন্দা মুহাম্মদ জ়ইনাব আহিসা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৫ ১০:২৫
সন্তানের জন্ম দেওয়ার মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়েছে কলকাতার সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধন।

সন্তানের জন্ম দেওয়ার মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়েছে কলকাতার সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধন। —প্রতীকী চিত্র।

স্বামীর হাত ধরে কলকাতার সঙ্গে পরিচয় তরুণীর। এই শহরের সঙ্গে কোনও দিনই তাঁর সরাসরি সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু, কয়েক দিন আগে প্রায় ১০ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূরের দেশের বাসিন্দা তরুণীর জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে এই শহরের নাম। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেওয়ার মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়েছে সম্পর্কের বন্ধন।

সোমবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছুটির পরে সন্তানকে নিয়ে শহরের অস্থায়ী ঠিকানায় গিয়ে উঠেছেন পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরো লিওনের বাসিন্দা মুহাম্মদ জ়ইনাব আহিসা। ফুটবলার-স্বামী স্যামুয়েল সোজা কার্গবো-র সূত্রে বছরখানেক আগে কলকাতায় এসেছিলেন বছর পঁচিশের ওই তরুণী। গত ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় প্রসবযন্ত্রণা শুরু হওয়ায় কলকাতা মেডিক্যালে ভর্তি হন আহিসা। শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণকরে ওই রাতেই স্ত্রী-রোগ বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসকপার্থসারথি মিত্র-সহ চিকিৎসক রিয়া বেরা, প্রিয়াঙ্কা সাহা এবং তাঁদের দল ওই তরুণীর সিজ়ার করেন।

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সদ্যোজাত পুত্রসন্তানকে দেখেআনন্দে দু’চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়েছিল তরুণীর। কারণ, তাঁকে জিজ্ঞাসা করে চিকিৎসকেরা জেনেছিলেন, এর আগে দু’বার গর্ভস্থ অবস্থাতেই সন্তান নষ্ট হয়েগিয়েছিল আহিসার। সেই সময়ে তিনি পশ্চিম আফ্রিকায় ছিলেন। পর পর দু’বার এমন ঘটনার পরে নিউ টাউনের একটি ক্লাবের হয়ে সাব ডিভিশন স্তরে খেলা স্বামীর সঙ্গেকলকাতায় আসেন তরুণী। শহরে থাকাকালীন গর্ভবতী হওয়ার পরে কলকাতা মেডিক্যালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। এ দিন সন্তানকে বুকে জড়িয়ে সিয়েরো লিওনের রস রোডের বাসিন্দা আহিসা ভাঙা ইংরেজিতে বলেন, ‘‘আমি এত খুশি, বলে বোঝাতে পারব না। কলকাতা মেডিক্যালের সকলের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

calcutta medical college

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy