E-Paper

সাইবার প্রতারণার ফাঁদে আলিপুর আদালতে কর্মরত বিচারকও

আলিপুর আদালতে কর্মরত এক মহিলাবিচারক (জুডিশিয়াল অফিসার) গত বছরের ৮ অক্টোবর বিধাননগর কমিশনারেটের সাইবার থানায় প্রতারণার একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৩৫
An image representing cyber crime

ভুয়ো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হোটেল বুক করিয়ে দেওয়ার নাম করেnজালিয়াতি চক্র চলছে রাজস্থানের ভরতপুর থেকে। ফাইল ছবি।

বিধাননগর সাইবার থানায় দায়ের হওয়া প্রতারণার একটি মামলায় ধৃত রাজস্থানের এক যুবককে জেরা করে একই ধরনের আরও একটি অভিযোগের কিনারা করল পুলিশ। ধৃত বছর কুড়ির প্রেমচাঁদকেশনিবার বিধাননগর আদালত ছ’দিন পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, আলিপুর আদালতে কর্মরত এক মহিলাবিচারক (জুডিশিয়াল অফিসার) গত বছরের ৮ অক্টোবর বিধাননগর কমিশনারেটের সাইবার থানায় প্রতারণার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পুরীর একটি হোটেল বুক করার জন্য একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট সংস্থা আরও কিছু টাকা চাওয়ায় তাঁর সন্দেহ হয়। তার পরে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই সংক্রান্ত নথি এবং টাকা পাঠানোর প্রমাণ তিনি জমা দেন পুলিশের কাছে।

তদন্তে পাওয়া সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে, ভুয়ো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হোটেল বুক করিয়ে দেওয়ার নাম করেnজালিয়াতি চক্র চলছে রাজস্থানের ভরতপুর থেকে। বিচারকের জমা করা টাকা গিয়েছে ভরতপুরের এক বাসিন্দার অ্যাকাউন্টে। সেখানে হানা দেয় সাইবার থানারএকটি দল। গ্রেফতার করা হয় প্রেমচাঁদকে। তার বাড়ি ভরতপুর জেলায় সিওয়ারে। তারই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল অভিযোগকারিণীর পাঠানো টাকা। ধৃতের থেকে একটি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।

ট্রানজ়িট রিমান্ডে নিয়ে ধৃতকে এ দিন বিধাননগর এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। তদন্তের জন্যপ্রেমচাঁদকে সাত দিন নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় পুলিশ। ধৃতের ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠান বিচারক, জানিয়েছেন মামলার সরকারি আইনজীবী তথা সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায়। আদালতে তিনি জানান, বিচারকই যদি প্রতারণার শিকার হয়ে যান, তবে সাধারণ মানুষের অবস্থা সহজেই অনুমেয়।

পুলিশ জানায়, লকডাউন প্রত্যাহার হওয়ার পরে পর্যটনকেন্দ্রগুলি খুলে যায়। বিভিন্ন হোটেলের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে ঘর বুক করিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা হাতানোর ফন্দির বাড়বাড়ন্ত দেখা যায় এর পরেই।যাচাই না করে ওই সব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা জমা করে অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, শুধু ওই জুডিসিয়াল অফিসারই নন, ভরতপুর থেকে চলা প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পড়ে ৭২ হাজার টাকা খুইয়েছিলেন মৃণ্ময় দাম নামে যাদবপুরের বাসিন্দা। বিভাস বলেন, ‘‘লকডাউনের পরে বেড়াতে যাওয়ার হিড়িক পড়েছিল। হোটেল বুক করতে অনেকেই অনলাইন মাধ্যমের ব্যবহার করছিলেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে প্রতারকেরা। অনলাইনে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। আগে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অস্তিত্ব বার বার যাচাই করতে হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Cyber Crime Cyber Crime Department Alipore Court judge

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy