প্রতীকী ছবি।
এক ছাত্রীর পোশাক নিয়ে ফতোয়া জারির অভিযোগ উঠল এ বার এক মহিলার বিরুদ্ধেই।
যাদবপুরে ছাত্রীদের একটি মেসে ওই ঘটনা ঘটেছে। ওই মেসের মালকিনের বিরুদ্ধেই ফতোয়া দেওয়ার অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন সেখানকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী। শুক্রবার তিনি যাদবপুর থানাতেও অভিযোগ করেছেন। গত সপ্তাহেই ইএম বাইপাসের একটি আবাসনে পোশাক নিয়ে এক তরুণীকে তির্যক মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা ওই তরুণী জানান, বাঘা যতীন-চিত্তরঞ্জন কলোনির ওই মেসে চার বছর ধরে রয়েছেন তিনি। বিজ্ঞানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরের পড়াশোনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, গত এক মাস ধরে মেসের মালকিন তাঁকে নানা তির্যক মন্তব্য করছেন। ছাত্রীর কথায়, ‘‘একতলায় নেমে খাবার নিয়ে আমাদের সবাইকে ঘরে ফিরতে হয়। ঘরের পোশাকেই যেতাম। হঠাৎই উনি জানান শর্টস পরে নীচে নামা যাবে না। সব মেয়েকেই শর্টস পরতে নিষেধ করেন।’’ তাঁর দাবি, প্রথমে থাকতে আসার সময়ে পোশাক নিয়ে কোনও নিয়মের কথা জানানো হয়নি। কে কী পরবেন, তা ব্যক্তিগত বিষয় বলার পরেই তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু হয় বলে অভিযোগ।
তরুণীর দাবি, পোশাক ঘিরেই শুক্রবার দুপুরে ফের মালকিন তাঁর উদ্দেশ্যে অশ্লীল মন্তব্য করেন। এর পরে ওই ছাত্রী যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার পরে ওই মেসের মালিককে সতর্ক করা হয়। তার পরে অসহযোগিতা আরও বেড়েছে বলেই ছাত্রীর অভিযোগ। তাঁর কথায়, ‘‘শুক্রবার নিরামিষ খাই। ঘটনা থানায় জানানোয় আমার জন্য সে রাতে আলাদা রান্নাই করা হয়নি।’’ মেসের মালকিন ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁর স্বামী ফোনে বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী পুরনো ধারণার মানুষ। ওই তরুণীর পোশাক তিনি পছন্দ করেননি। তাই প্রতিবাদ করেছেন। এর জন্য পুলিশে যাওয়ার মানে হয় না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy