—প্রতীকী ছবি।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক মোটরবাইক আরোহীর। একই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন চালকও। বৃহস্পতিবার বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দমদম থানার প্রমোদনগরের কাছে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দেবজ্যোতি ভৌমিক (৩৭)। তাঁর বাড়ি বরাহনগরে। আহত বাইকচালকের নাম শুভাশিস সরকার। তিনি হুগলির বৈদ্যবাটীর বাসিন্দা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, একটি সংস্থায় কর্মরত শুভাশিস এ দিন বাইক চালিয়ে বৈদ্যবাটী থেকে আসছিলেন। ডানলপ থেকে বাইকে ওঠেন তাঁর সহকর্মী দেবজ্যোতি। দু’জনে আসছিলেন বিমানবন্দরের দিকে। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রমোদনগরের কাছে কাট-আউট পেরোনোর সময়ে ট্র্যাফিক সিগন্যাল লাল হয়ে যাওয়ায় প্রাণপণে ব্রেক কষে বাইক থামান শুভাশিস। কিন্তু টাল সামলাতে না পেরে রাস্তায় পড়ে যান দেবজ্যোতি। সেই সময়েই পিছন থেকে একটি লরি আসছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই লরির চাকা দেবজ্যোতির শরীরের উপরে উঠে যায়। লরির ধাক্কায় ছিটকে পড়েন শুভাশিসও।
ঘটনাটি দেখে ছুটে আসেন পথচলতি মানুষ এবং স্থানীয়েরা। আসে দমদম থানার পুলিশ। দু’জনকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দেবজ্যোতিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। লরি এবং তার চালককে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন মোড়ে আরও বেশি সংখ্যক ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী মোতায়েন করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে দরকার গতি নিয়ন্ত্রণ। তাঁদের অভিযোগ, চার চাকা থেকে শুরু করে পণ্যবাহী গাড়িগুলির গতি বেশি থাকে। সেগুলির সঙ্গে পাল্লা দেয় ছোট গাড়িগুলি। ফলে একটু অসতর্ক হলেই ঘটে বিপদ।
যদিও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এই ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার কারণ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি, গাড়িচালক এবং পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জোর দেওয়া হবে প্রচারেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy