বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ভুয়ো সিবিআই অফিসার সেজে আর এক মহিলাকে বিয়ে করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম সৌমেন দাস। তার বাড়ি সল্টলেকে। সোমবার সকালে সে ব্যাঙ্কশাল আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করে। খবর পেয়ে বড়তলা থানার পুলিশ আদালতে পৌঁছে সৌমেনকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায়। তা মঞ্জুর করে ব্যাঙ্কশাল আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনোদীপ দাশগুপ্ত অভিযুক্তকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত বছর দশেক আগে। অভিযোগকারিণীর বাড়ি বড়তলা থানা এলাকায়। আদালতের কাছে অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, ২০১০ সালে সৌমেন নিজেকে সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের সাব-ইনস্পেক্টর পরিচয় দিয়ে তাঁকে বিয়ে করে। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তাঁরা বড়তলা থানা এলাকাতেই থাকতেন। মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, সৌমেনের দাবি ছিল, তার পরিবার এই বিয়ে মেনে না নেওয়ায় সে সল্টলেকের বাড়িতে ফিরতে পারছে না।
২০১৯ সালে অভিযোগকারিণী জানতে পারেন, সৌমেন বিবাহিত। তাদের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। সে কথা না জানিয়ে সৌমেন তাঁকে বিয়ে করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিবিআইয়ে ওই নামে কেউ নেই। ওই তদন্তকারী সংস্থার স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের সাব-ইনস্পেক্টর হিসেবে সৌমেনের দেওয়া পরিচয়টাও ভুয়ো। এর পরেই ওই মহিলা আদালতে যান। আদালত ফেব্রুয়ারিতে বড়তলা থানার ওসিকে ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। পুলিশ জানায়, এ দিন কাছে খবর আসে, সৌমেন আদালতে হাজির হয়েছে। তারাও কোর্টে গিয়ে অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। তা মঞ্জুর করেন বিচারক।