Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Ownership

মেয়রকে বলে ‘কাজ হয়নি’, দাদুর কবরের মালিকানা পেতে অধ্যক্ষের দ্বারস্থ নাতনি

শিয়ালদহে ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালটি প্রয়াত চিকিৎসক আর আহমেদের নামেই প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৫ সালে পার্ক সার্কাসের তিন নম্বর গোবরা কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছিল চিকিৎসককে।

An image of plaque

দাদুর কবর দেখাচ্ছেন আর আহমেদের নাতি জাহিদ মাকসুদ। —নিজস্ব চিত্র।

মেহবুব কাদের চৌধুরী
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:২৬
Share: Save:

দাদুর কবরের ‘মালিকানা’ ফিরে পেতে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে বলেও কাজ হয়নি বলে দাবি। পদ্মভূষণে সম্মানিত প্রয়াত চিকিৎসক রফিউদ্দিন আহমেদের নাতনি এ বার তাই আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হলেন। সূত্রের খবর, অধ্যক্ষ তপনকুমার গিরি বিষয়টির মধ্যস্থতা করতে স্বাস্থ্য ভবনের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

শিয়ালদহে ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালটি প্রয়াত চিকিৎসক আর আহমেদের নামেই প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৫ সালে পার্ক সার্কাসের তিন নম্বর গোবরা কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছিল চিকিৎসককে। ১৯৭৫ সালে সেই জমি সংলগ্ন জায়গায় সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীরের এক আত্মীয়কে কবর দেওয়া হয়েছিল। রফিউদ্দিন আহমেদের নাতনি জারিনা আলিয়া নিজেও আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের চিকিৎসক। জারিনার দাবি, ‘‘আমার দাদুকে কবর দেওয়ার জন্য পুরসভার থেকে জায়গা কেনা হয়েছিল। তার প্রামাণ্য নথি আমাদের আছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘তা সত্ত্বেও আমার দাদুর কবরের উপর আলতামাস কবীরের আত্মীয়ের নামফলক রয়েছে!’’

ক্ষুব্ধ জারিনার আরও অভিযোগ, ‘‘পুর কর্তৃপক্ষ মুখে বলছেন, প্রামাণ্য নথি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু দাদুর কবরের জায়গা কেনার কাগজ আমাদের কাছে থাকলেও পুরসভা কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এটা খুবই হতাশাজনক।’’ তাই বিষয়টির সমাধানে সম্প্রতি আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ তপনকুমার গিরির সঙ্গে তিনি কথা বলেন। অধ্যক্ষ শুধু বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না।’’ আগামী বছর প্রয়াত চিকিৎসকের ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে চান পরিবারের সদস্যেরা। জারিনা বলেন, ‘‘দাদুর কবরে আমরা নামফলক বসাতে চাই। অনেকে দাদুকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কবরে নামফলকের বিভ্রান্তিতে দিশাহারা হয়ে যান।’’

আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রের খবর, চিকিৎসক থেকে পড়ুয়া সকলেই চাইছেন, রফিউদ্দিন আহমেদের কবরে নামফলক লাগানোর ব্যবস্থা করুক কলকাতা পুরসভা। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির স্ত্রী মিন্না কবীরকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। এসএমএস এব‌ং হোয়াটসঅ্যাপ করা হলেও উত্তর দেননি।

মেয়র বলেন, ‘‘একই জায়গায় দু’টি পরিবারের সদস্য কবরের মালিকানা আছে বলে দাবি করছেন। কী করা যায়, সেটাই দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE