চেঁচামেচি শুনে ছুটে এসে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন আশপাশের ঘরের বাসিন্দারা। তাঁরা দেখেন, চিৎকার করে পালানোর চেষ্টা করছেন এক প্রৌঢ়া। আর তাঁকে ধরে রেখে চপারের কোপ মারছেন এক প্রৌঢ়! কোনও মতে ওই প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর, প্রৌঢ়কে মারধর করেন স্থানীয়েরা। তাঁকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তিনি মারা যান।
বৃহস্পতিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগরে। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা বলেন, ‘‘প্রৌঢ়াকে আক্রমণের সময়েই প্রৌঢ় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তবে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ওই প্রৌঢ়ের নাম শঙ্কর মাহাতো (৬৩)।
পুলিশ সূত্রের খবর, বনহুগলির লেবুবাগানের যৌনপল্লিতে ওই প্রৌঢ়ার কাছে প্রায়ই আসতেন শঙ্কর। আগে তিনি বনগাঁয় থাকলেও বর্তমানে কোথায় থাকতেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। বুধবার রাতে ওই প্রৌঢ় লেবুবাগানে আসেন। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ প্রৌঢ়ার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা চলে আসেন। তাঁরা দেখেন, প্রৌঢ়ার হাত ধরে পিছন থেকে চপারের কোপ মারছেন শঙ্কর। কয়েক জন তাঁকে পিছন থেকে জাপটে ধরেন। প্রৌঢ়াকে ছাড়িয়ে নিয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর মাথায় ও হাতে কোপ পড়েছে।
এই ঘটনায় শঙ্করকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন প্রতিবেশীরা। তাতে মাটিতে পড়ে যান তিনি। খবর পেয়ে বরাহনগর থানার পুলিশ গিয়ে শঙ্করকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই শঙ্করের মৃত্যু হয়। ওই প্রৌঢ়ার অবস্থাও সঙ্কটজনক।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)