ধর্ষণের চেষ্টায় বাধা পেয়ে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অঞ্জনকুমার সেনগুপ্ত। সোমবার সাজা শোনান তিনি। সাজাপ্রাপ্তের নাম শেখ মুন্না। সরকারি আইনজীবী সাফিনা আহমেদ জানান, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৫ সালে। কলকাতার বাসিন্দা ২২ বছরের ওই বধূ পাঁচ বছরের বোনপোকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। তাঁর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তাঁদের বাড়ির পাশেই কারখানায় কাজ করত মুন্না। রাতে তরুণী শৌচাগারে যেতে বাইরে বেরোলে ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। প্রথমে সে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তিনি বাধা দেওয়ায় তরুণীরই ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে। সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘নির্যাতিতা ও অভিযুক্তের শরীরে একাধিক আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’’
আদালত সূত্রের খবর, প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে গোপন জবানবন্দি দেয় মৃতার বোনপো। অভিযুক্তকে শনাক্তও করে সে। সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘অভিযুক্ত লালসার জেরে অসহায় গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাধা পেয়ে তাঁকে খুন করে। অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করা হচ্ছে।’’ এ দিন সাজা ঘোষণার আগে মুন্না নিজেকে নির্দোষ দাবি করে।