প্রতিমাদেবী
কলকাতার বুকে এক টুকরো শান্তিনিকেতন! শান্তিনিকেতন নামের ‘কমলহিরের আলো’টুকুই যেন ঠিকরে পড়বে রবিবারের কলকাতায়। শান্তিনিকেতন বলতে বাঙালির চোখে যে পরিশীলনের ছবিটা ভেসে ওঠে তাঁর প্রতীক দুই ‘আশ্রমকন্যা’কেই এ দিন সকালে প্রণাম জানাবে কলকাতা।
রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ প্রতিমাদেবী এবং রবীন্দ্র নৃত্যগীতের বিশিষ্ট শিল্পী, পাঠভবনের শিক্ষিকা সদ্যপ্রয়াত নীলাঞ্জনা সেন— দুই আশ্রমকন্যাই জুড়ে আছেন আই সি সি আর-এর সত্যজিৎ রায় প্রেক্ষাগৃহ জুড়ে। ‘প্রতিমা’ নামের অনুষ্ঠানটি মেলে ধরা হচ্ছে যাঁর সৃজন-ভাবনায় সেই সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় বলছিলেন, ‘‘একদা শান্তিনিকেতনের স্কুল গড়ার সময়ে নিজের গয়না দিয়েছিলেন রবীন্দ্রজায়া মৃণালিনীদেবী। শান্তিনিকেতনের ইতিহাস জুড়েই উজ্জ্বল উপস্থিতি আশ্রমকন্যাদের।’’ সুজয়, চৈতালী দাশগুপ্তদের পাঠ, শ্রমণা চক্রবর্তী, রঞ্জিনী মুখোপাধ্যায় প্রমুখের গানে অনুষ্ঠানটির মধ্যে নিহিত এক ধরনের ‘রাজনৈতিক উচ্চারণ’। ‘‘নানা সামাজিক বাধা জয় করে তখনকার আলোকপ্রাপ্তাদের গল্প বলাটার মধ্যেও কি নারীত্বের উদ্যাপনের রাজনীতি নেই!’’— বলছিলেন সুজয়। ছবি আঁকা, নৃত্যচর্চা, লেখালেখি নানা দিক দিয়েই শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্র সংস্কৃতি মেলে ধরার অন্যতম পথিকৃৎ প্রতিমাদেবী। দেশ-বিদেশে নন্দিত শিল্পী নীলাঞ্জনা সেনের নামে একটি সম্মাননা প্রদানও যেন শান্তিনিকেতনী ঘরানার পতাকাই মেলে ধরা। এ বার বিশ্বভারতীর বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক-লেখক বিশ্বজিৎ রায় পাচ্ছেন সেই স্বীকৃতি। প্রমিতা মল্লিক, শর্মিলা রায় পোমোর মতো গুণী আশ্রমকন্যারাও থাকছেন অনুষ্ঠান জুড়েই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy