হস্টেলের পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসেও চাঙড় খসে পড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ ভবনের বাইরের একটি অংশের চাঙড় খসে পড়ে বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের একাংশের। ছুটির দিন থাকায় ঘটনায় কারও আহত হওয়ার খবর নেই। সোমবার বিষয়টি নজরে আসে পড়ুয়াদের। তার পরই ক্যাম্পাসের ভবনগুলির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। ভবনের বাইরে ওই জায়গাটিকে ঘিরে রাখার কিছু ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে।
গত শুক্রবার রাতে বিডন রো-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আবাসের দোতলার একটি ঘরের কড়িকাঠ ভেঙে পড়েছিল। ঘটনার কেউ আহত না হলেও ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শে ওই ছাত্রী আবাস খালি করে শিক্ষার্থীদের অন্য হস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে তখনও প্রশ্ন উঠেছিল। ওই ঘটনার দু’দিনের মাথায় ফের মূল ক্যাম্পাসে এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠল রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে। রবিবারের ওই ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত দের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাঙড় খসার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। উপাচার্য বলেন, "ভবনটি বহু পুরানা। বিভিন্ন জায়গায় ফেঁপে উঠেছে। তাই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এই জায়গাগুলি চটিয়ে ফেলছে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হবে।"
যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কলকাতা জেলা কোঅর্ডিনেটর অভিরূপ চক্রবর্তী বলেন, “কখনও হস্টেল, কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে, কখন সিলিং, কখনও চাঙড় ভেঙে পড়ছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এই দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ইঞ্জিনিয়রদের নিতে হবে। এর দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। অন্যথায় আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করব।”
আরও পড়ুন:
ববস্তুত, বিডন রো-এর ঘটনায় ইতিমধ্যে নড়েচড়ে বসেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রী আবাসের কড়িকাঠ কেন ভেঙে পড়ল, তা খতিয়ে দেখতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আধিকারিক প্রতিটি হস্টেলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখবেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপকেরা এই কাজে তাঁকে সহযোগিতা করবেন।