Advertisement
১২ অক্টোবর ২০২৪

হাসপাতাল থেকে পালাল বন্দি

সকাল তখন সাতটা হবে। ঘুম থেকে উঠে নিরাপত্তারক্ষীদের বলেছিল সে শৌচাগারে যাবে। সেই মতো তিন নিরপত্তারক্ষী ওই বন্দিকে শৌচগারে পৌঁছেও দেয়। মিনিট দশেক অতিক্রম হওয়ার পর যখন ওই বন্দি শৌচাগার থেকে বেরোচ্ছে না, তখন সন্দেহ হয় নিরাপত্তারক্ষীদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৫ ১৪:৫০
Share: Save:

সকাল তখন সাতটা হবে। ঘুম থেকে উঠে নিরাপত্তারক্ষীদের বলেছিল সে শৌচাগারে যাবে। সেই মতো তিন নিরপত্তারক্ষী ওই বন্দিকে শৌচগারে পৌঁছেও দেয়। মিনিট দশেক অতিক্রম হওয়ার পর যখন ওই বন্দি শৌচাগার থেকে বেরোচ্ছে না, তখন সন্দেহ হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। তাঁরা শৌচাগারের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন সেখানে ওই বন্দি নেই। শৌচাগারের জানালার একটি রড বাঁকানো। আর সেখান থেকেই ঝুলছে একটি দড়ির অংশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালের কার্জন ওয়ার্ডের দোতলায়। পলাতক ওই বন্দির নাম আফজল মোল্লা। তার বাড়ি বাংলাদেশে। তিন নিরাপত্তারক্ষী পাহারায় থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই বিচারাধীন বন্দি পালিয়ে গেলে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে কলকাতা পুলিশের রির্জাভ ফোর্সের ওই তিন কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।

পুলিশ জানিয়েছে, বছর দুয়েক আগে আফজল মোল্লাকে অপহরণের মামলায় গ্রেফতার করে দক্ষিণ ২৪ পরগণার জীবনতলা থানার পুলিশ। ওই অপহরণের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বেআইনি অনুপ্রবেশেরও মামলা চলছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই মামলাগুলি বিচারাধীন ছিল আদালতে। আদালতের নির্দেশে আফজলকে রাখা হয় প্রেসিডেন্সি জেলে।

কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, জেলে থাকাকালীন সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে জেল হাসপাতাল এবং পরে হত ১৭ জুন তাকে চিকিৎসার জন্য আনা হয় এসএসকেএস হাসপাতালে। ওই হাসপাতালের কার্জন ওয়ার্ডের তিনতলায় ভর্তি ছিল আফজল। কয়েক দিন আগে তার হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার করা হয়। তার পর থেকেই ওই হাসপাতালেই ভর্তি ছিল ওই বন্দি।

অন্য বিষয়গুলি:

sskm hospital bangladesh police kolkata
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE