পুলিশ এসে ওই নাবালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। প্রতীকী ছবি।
বহুতলের ১১তলা থেকে ভারী কিছু পড়ার শব্দ পেয়েছিলেন আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রথমে তাঁরা বিষয়টিতে তেমন আমল দেননি। কিন্তু পরমুহূর্তে শুনতে পান জোরে গোঙানির শব্দ। তখন নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে এসে দেখেন, আবাসন চত্বরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এক নাবালক। দ্রুত আবাসিকদের খবর দেওয়ার পাশাপাশি খবর যায় থানাতেও। পুলিশ এসে ওই নাবালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালি থানার রাধানাথ চৌধুরী রোডে। মৃত বছর পনেরোর কিশোর আর এন সি রোডের বাসিন্দা। বাড়িতে মা-বাবা ছাড়াও আছেন ছয় ভাই এবং এক বোন। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই আবাসনের ১১তলায় থাকে ওই কিশোরের এক বন্ধু। এর আগেও কয়েক বার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল সে। এ দিনও দুপুরে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার নাম করে আবাসনে আসে ওই কিশোর। লালবাজার সূত্রের খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সে ভিতরে ঢুকছে। এর পরে ওই কিশোর সোজা উপরে উঠে যায়। তার কিছু ক্ষণ পরেই ঘটে ওই ঘটনা।
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই আবাসনের ব্লক-২ এর ১১তলার লিফটের সামনে একটি বড় ফাঁকা অংশ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরের। তবে সে ঝাঁপ দিয়েছে, না কি অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। আবাসনের এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘‘প্রথমে ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ, তার পরেই একটা গোঙানি শুনে ছুটে আসি। প্রথমে ওই কিশোরকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেলেও চেনা যায়নি। পরে পুলিশ খোঁজ-খবর করে নাম জানতে পারে।’’
তবে এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। আপাতত সংগ্রহ করা হয়েছে আবাসনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। পুলিশ জেনেছে, ওই কিশোর গত কয়েক দিন ধরে স্কুলে যাচ্ছিল না। বাড়িতেও চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বেশ কয়েকটি দিক নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। মৃতের পরিবারের সঙ্গেকথা বলা হবে। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy