কুম্ভমেলার আবহে দেশ জুড়ে বিপুল সংখ্যক বিশেষ ট্রেন চালানো হলেও একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় যাত্রী-হয়রানি চলছেই। আগে থেকে সংরক্ষিত কামরার টিকিট কেটেও এক শ্রেণির বেপরোয়া যাত্রীদের দখলদারি ও হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ইন্দোর থেকে ফেরার পথে শিপ্রা এক্সপ্রেসের বাতানুকূল সংরক্ষিত কামরায় ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হল দমদম বিশ্বরূপম নাট্যগোষ্ঠীর সদস্যদের। একটি নাট্যোৎসব থেকে ফেরার পথে ওই দলের ২৫ জন সদস্য শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় শিপ্রা
এক্সপ্রেসের এম-১ (থ্রি-এসি) কামরায় ওঠেন। অভিযোগ, রবিবার সকালে ট্রেনটি পাথারিয়া স্টেশনে পৌঁছলে সেই কামরায় কিছু যাত্রী জোর করে উঠে পড়ে। সেই সময়েই নাট্যদলের
কয়েক জন সদস্যের ল্যাপটপ, ভ্যানিটি ব্যাগ, বাদ্যযন্ত্র, নাটকে ব্যবহৃত সামগ্রীর ব্যাগ খোয়া যায় বলে অভিযোগ। রেলে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। পরে ট্রেন
প্রয়াগরাজ স্টেশনে পৌঁছলে রেলরক্ষী বাহিনীর কর্মীরাই ওই কামরায় যাত্রীদের তুলে দেন বলে অভিযোগ। তাতে আপত্তি জানালে হেনস্থা ও গালিগালাজ
করা হয়। পরে গোমো স্টেশনে পৌঁছলে ১০-১২ জনের একটি দল ট্রেনে উঠে লাঠি নিয়ে নাটকের দলটিকে মারতে যায় বলেও
অভিযোগ। ওই নাট্যদলের সদস্য তথা অভিনেতা সুদীপ্ত দাস বলেন,
‘‘সম্ভাব্য সব উপায়ে রেলের কাছে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি। টিকিট কেটে
সংরক্ষিত কামরায় উঠে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হল।’’
সোমবার ওই দলটি হাওড়া জিআরপি-তে লিখিত অভিযোগ জানায়। রেল সূত্রের
খবর, ওই অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জিআরপি-তে পাঠানো হয়েছে। এ দিন পূর্ব রেলের আধিকারিকেরা মন্ত্রকের নির্দেশে কুম্ভমেলার জন্য
একাধিক ট্রেনের ‘সুব্যবস্থা’র কথা তুলে ধরেন। তাঁদের কাছে এই ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে জানানো হয়, উত্তর-মধ্য রেল সমস্যা সমাধানে তৎপর হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)