ফের সল্টলেকে পর পর দু’দিন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। তবে এ বার পুলিশ নয়, স্থানীয় বাসিন্দারাই ধরলেন ছিনতাইবাজকে। ধৃতের নাম রাজু দেবনাথ। পুলিশ জেনেছে, দু’টি ঘটনার সঙ্গেই যোগ রয়েছে ওই ছিনতাইবাজের। জিজ্ঞাসাবাদে দু’টি অপরাধেরই কথা কবুল করেছে রাজু। এ ছাড়াও ধৃতের নামে একাধিক অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে বাড়ির কাছে একটি বাগানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সিজি ব্লকের বাসিন্দা দীপা মুখোপাধ্যায়। আচমকা পিছন থেকে এসে রাজু তাঁর গলার হার টেনে নিয়ে পালাতে যায়। দীপাদেবী চিৎকার করলে একটি বাড়ির এক নিরাপত্তারক্ষী তাড়া করে হাতেনাতে ধরে ফেলে রাজুকে। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরাও। পরে রাজুকে পুলিশের হাতে তুলে দেন বাসিন্দারা।
এর আগে রবিবার সকালে সিবি ব্লকের পার্কে প্রাতর্ভ্রমণ করছিলেন ব্লকেরই এক মহিলা সন্তোষ গুপ্ত। সেই সময় এক যুবক পিছন থেকে গিয়ে তাঁর গলার হার টেনে নিয়ে চম্পট দেয়।
পর পর দু’টি ঘটনায় পুলিশি নজরদারি নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে বিধাননগর পুলিশ প্রশাসন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, আগের থেকে নজরদারি বেড়েছে। কিছু দুষ্কৃতী ধরাও পড়ছে। কিন্তু কিছু দিন চুপচাপ থাকার পরে ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, দিন বা রাত কোনও সময়েই সুরক্ষিত নন তাঁরা। এরকম চলতে থাকলে প্রাতর্ভ্রমণ করাই বন্ধ হয়ে যাবে। যে সময়ে নজরদারি কমছে, সেই সময়টাকেই বেছে নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা।
সল্টলেকে বাসিন্দাদের একটি সংগঠনের এক কর্মকর্তা কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, ‘‘আগের থেকে চুরি, ছিনতাইয়ের প্রকোপ কমেছে, কিন্তু তা বন্ধ হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে সিসিটিভির নজরদারি আরও বাড়ানো হোক।’’
যদিও বিধাননগর পুলিশ কর্তাদের দাবি, পরিকাঠামো বেড়েছে। পাশাপাশি বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে একযোগে নজরদারির বিষয়েও জোর দেওয়া হয়েছে। একের পর এক অভিযানে ধরা পড়েছে একাধিক দুষ্কৃতীচক্র। তার পরেও কিছু অপরাধী দুষ্কর্ম ঘটাচ্ছে। সেই দিকগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে ধৃত রাজুর সূত্র ধরে আরও একটি চক্রের সন্ধান মিলবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy