E-Paper

উঁচু থেকে পড়ে মৃত্যু শ্রমিকের

অভিযোগ, শ্রমিকের কোমরে দড়ি বাঁধা ছিল না, মাথায় হেলমেটও ছিল না। অন্ধকারে উজ্জ্বল দেখায়, এমন জ্যাকেট পরা বা আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থাও ঘটনাস্থলে ছিল না বলে পুলিশের দাবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২৫ ০৬:১২
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম সুকুমার হালদার (৪৫)।

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম সুকুমার হালদার (৪৫)। —প্রতীকী চিত্র।

কোনও রকম নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছাড়াই উঁচুতে কাজ করতে উঠে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। গত বৃহস্পতিবার উপর থেকে পড়ে যান তিনি। শুক্রবার গভীর রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, ওই শ্রমিকের কোমরে দড়ি বাঁধা ছিল না, মাথায় হেলমেটও ছিল না। অন্ধকারে উজ্জ্বল দেখায়, এমন জ্যাকেট পরা বা আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থাও ঘটনাস্থলে ছিল না বলে পুলিশের দাবি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পঞ্চসায়র থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম সুকুমার হালদার (৪৫)। তিনি ক্যানিং এলাকার বাসিন্দা। কয়েকদিন ধরে তিনি আরও কিছু শ্রমিকের সঙ্গে পঞ্চসায়রের নয়াবাদ এলাকায় বাড়ি নির্মাণের কাজ করছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় ২০ ফুট উঁচুতে কাজ করার সময়ে নীচে পড়ে যান তিনি। এর জেরে তাঁর বুকের পাঁজর ভাঙে, মাথায় গুরুতর চোট পান। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হলে শুক্রবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জেরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কিন্তু কেন কোনও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রাখা হয়নি, সেই প্রশ্ন উঠছে। দিন কয়েক আগেই দক্ষিণ কলকাতার একটি অভিজাত ক্লাবে উঁচুতে কাজ করার সময়ে পড়ে যান পাঁচ শ্রমিক। গুরুতর জখম দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। কিন্তু বার বার এমন ঘটনার পরেও হুঁশ ফিরছে না কারওরই। পুরসভা এমন কাজের জন্য কিছু নিয়ম বেঁধে দিলেও তা মেনে চলার বালাই নেই বলে অভিযোগ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মৃতের পরিবার অভিযোগ দায়ের না করায় কারও কিছুই হয় না বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। তবে পঞ্চসায়রের ঘটনায় পুলিশ শ্রমিকদের ঠিকাদার সংস্থাকে ডেকে পাঠিয়েছে। গাফিলতি থাকলে পদক্ষেপ করা হবে বলেও পুলিশের দাবি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

police investigation panchasayar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy