E-Paper

ডেঙ্গির বর্তমান স্ট্রেনে ঝুঁকি কম, মত ডাক্তারদের

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির চারটি প্রজাতি রয়েছে— ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪। প্রথম ও তৃতীয়টিতে সমস্যা কম। অর্থাৎ, আক্রান্ত হলেও সঙ্কটজনক হওয়ার ঝুঁকি কম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৩ ০৫:০২
An image of Dengue

—প্রতীকী চিত্র।

করোনার প্রজাতি জানতে করা হত জিনোম সিকোয়েন্স। আর মশাবাহিত ভাইরাসের প্রজাতি জানতে ডেঙ্গি-সেরোটাইপিং শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই রিপোর্ট জমা পড়ল নবান্নে। তাতে জানানো হয়েছে, রাজ্যে যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি চলছে, তার নেপথ্যে আছে ‘ডেন-৩’ স্ট্রেন। চিকিৎসকদের মতে, এই স্ট্রেন আপাত নিরীহ স্বভাবের। তাই সকলেই সঙ্কটজনক হবেন না।

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির চারটি প্রজাতি রয়েছে— ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪। প্রথম ও তৃতীয়টিতে সমস্যা কম। অর্থাৎ, আক্রান্ত হলেও সঙ্কটজনক হওয়ার ঝুঁকি কম। তবে দ্বিতীয় ও চতুর্থ প্রজাতি অতি দ্রুত সঙ্কটজনক করে তোলে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, ভাইরাসের কোন প্রজাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তা জানা জরুরি। তাই নাইসেড ও স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে ডেঙ্গির সেরোটাইপিং হচ্ছে। জুলাইয়ে ৪১০ জনের পজ়িটিভ ডেঙ্গি নমুনার সেরোটাইপিং হয়। ৩০০ জনের রিপোর্ট মিলেছে। তাতে ডেন-১ ৪.১%, ডেন-২ ১৭%, ডেন-৩ ৬৩.২% এবং ডেন-৪ ১৫.২% মিলেছে। জনস্বাস্থ্যের চিকিৎসকেরা বলছেন, এখন ডেন-৩ স্ট্রেনের আধিক্য বেশি, যা স্বস্তির। কিন্তু ২০১৯-এর মতো হঠাৎ ডেন-২ বা ডেন-৪ একযোগে তাণ্ডব শুরু করলে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা যেমন বাড়ে, তেমনই বাড়ে মৃত্যুও।

২০২২ সালে প্রথমে ডেন-৩ থাকলেও পরে আসে ডেন-২। বর্ষার শেষে দেখা গিয়েছিল ডেন-৩ ৫২% এবং ডেন-২ ৪০%। দু’টিই প্রায় সমানতালে চলছিল। এ বছর এখনও তেমন পরিস্থিতি নয়। ডেন-৩ স্ট্রেনের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে ডেন-২। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, ‘‘আরও ক’টা মাস পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখতে হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Dengue Dengue Death Dengue Fear Doctors West Bengal health department

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy