Advertisement
E-Paper

পুলিশ-নিগ্রহে অভিযুক্তকে যান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব

ই এম বাইপাসের কালিকাপুর মোড়ে যান চলাচলে নজরদারি চালানোর সঙ্গেই কেউ ট্র্যাফিক আইন অমান্য করছেন কি না, তা-ও দেখভাল করছেন দীপঙ্কর।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২০ ০২:৩০
পুলিশের সঙ্গে যান নিয়ন্ত্রণ করছেন দীপঙ্কর দাস। মঙ্গলবার, বাইপাস এবং প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টর মোড়ে। নিজস্ব চিত্র

পুলিশের সঙ্গে যান নিয়ন্ত্রণ করছেন দীপঙ্কর দাস। মঙ্গলবার, বাইপাস এবং প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টর মোড়ে। নিজস্ব চিত্র

কয়েক দিন আগেই এক ট্র্যাফিক সার্জেন্টকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। সোমবার থেকে তিনিই যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজে পুলিশকে সহায়তা করছেন। সৌজন্যে আদালত।

পুলিশ সূত্রের খবর, আলিপুর আদালতের নির্দেশ মেনেই দীপঙ্কর দাস নামে ওই অভিযুক্তকে এই কাজে যুক্ত করা হয়েছে। ই এম বাইপাসের কালিকাপুর মোড়ে যান চলাচলে নজরদারি চালানোর সঙ্গেই কেউ ট্র্যাফিক আইন অমান্য করছেন কি না, তা-ও দেখভাল করছেন দীপঙ্কর। ২৭ মার্চ পর্যন্ত দিনে দু’ঘণ্টা করে ওই কাজ করতে হবে পেশায় গাড়িচালক দীপঙ্করকে। সোমবার থেকেই পূর্ব যাদবপুর ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি সঞ্জয় সিংহের অধীনে ওই কাজ শুরু করেছেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অন্য পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কাজ করেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ই এম বাইপাসের সিংহবাড়ির মোড়ে পূর্ব যাদবপুর থানার ট্র্যাফিক সার্জেন্ট সুমনকল্যাণ ঢাককে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে দীপঙ্করের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই রাতে আইন ভেঙে অন্য একটি বাইকে ধাক্কা মেরেছিল দীপঙ্করের মোটরবাইক। তাঁর বাইকের দুই সওয়ারি পালিয়ে গেলেও দীপঙ্করকে ধরতে যান ওই সার্জেন্ট। প্রথমে দীপঙ্কর সার্জেন্টের সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন এবং পরে তাঁকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। পরে দীপঙ্করকে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল।

বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করে নির্দেশ দেন, অভিযুক্তকে দিনে দু’ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে থেকে যান নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে হবে।

কালিকাপুরের বাসিন্দা দীপঙ্কর এ দিন কাজের ফাঁকে জানান, ওই রাতের ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত। বাড়িতে মা-বাবা তাঁর উপরে নির্ভরশীল। তাই তিনি সকালের দিকে যানবাহন সামলানোর কাজ করতে চান।

গত বছরও কসবা থানা এলাকার কয়েক জন অভিযুক্তকে ট্র্যাফিক পুলিশের কাজে সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পুলিশের একাধিক আধিকারিক জানান, এই ভাবে শাস্তি দিলে আইনভঙ্গকারীরা আইন মানার বিষয়ে সচেতন হবেন। পুলিশের সঙ্গে এই কাজ করলে তাঁদের মনোভাব বদলাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পুলিশকর্তারা।

Molestation Kolkata Traffic Police Alipore Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy