Advertisement
E-Paper

Garfa Police station: অভিযোগকারিণীকে কটূক্তির মামলায় তিন পুলিশকে সমন

আইনজীবীরা জানান, সমন জারির চার সপ্তাহের মধ্যে ওসি-সহ তিন পুলিশ অফিসারকে আদালতে হাজির হতে হবে বলে নির্দেশে বলা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২১ ০৫:৪৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অভিযোগকারিণীকে থানার ভিতরে কটূক্তি করার ঘটনায় গরফা থানার ওসি, অতিরিক্ত ওসি এবং এক সাব-ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে সমন জারি করার নির্দেশ দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (৩) পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী।

এর আগে এই ঘটনায় আলিপুরের বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (৬) শুধু অভিযুক্ত সাব-ইনস্পেক্টর সন্দীপ ওরাঁওয়ের বিরুদ্ধে সমন জারি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অভিযোগকারিণী সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোয় বুধবারের এই নির্দেশ। অভিযোগকারিণীর আইনজীবী সুবীররঞ্জন চক্রবর্তী এবং পরাগ মুখোপাধ্যায় জানান, এই ধরনের নির্দেশ সাম্প্রতিক কালে রাজ্যের কোনও নিম্ন আদালতে হয়নি।

আইনজীবীরা জানান, সমন জারির চার সপ্তাহের মধ্যে ওসি-সহ তিন পুলিশ অফিসারকে আদালতে হাজির হতে হবে বলে নির্দেশে বলা হয়েছে। অভিযোগ, সুদীপ্ত ওরাঁও নামের ওই সাব-ইনস্পেক্টর কটূক্তি করেছিলেন ও হুমকি দিয়েছিলেন। অভিযোগ পেয়েও ওসি এবং অতিরিক্ত ওসি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

সুবীররঞ্জনবাবু জানান, গরফা থানা এলাকায় এক গৃহবধূর উপরে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতেন। ২০২০ সালের এপ্রিলে ওই বধূ থানায় ফোন করেন। গরফা থানার পুলিশ গিয়ে ওই বধূকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় যান বধূর মা, বাবা ও বোন। সে দিন তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেন। সুদীপ্ত পরদিন ফের ওই বধূ এবং তাঁর পরিবারকে থানায় যেতে বলেন। অভিযোগ, পরদিন থানায় গেলে সুদীপ্ত বধূর মায়ের উপরে চোটপাট এবং কটূক্তি করেন। অভিযোগের বয়ান বদলাতেও চাপ দেন। তাতে রাজি না-হলে সুদীপ্ত হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। পরে রেজিস্ট্রি চিঠি মারফত ওসি সত্যপ্রকাশ উপাধ্যায়কে বিষয়টি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর অনুরোধ জানান বধূর মা। ওসির তরফে সাড়া মেলেনি। পরে তিনি কলকাতার পুলিশ কমিশনার, বিভাগীয় ডেপুটি কমিশনারকেও রেজিস্ট্রি ডাক মারফত চিঠি পাঠান। তাতেও কাজ না-হওয়ায় তাঁরা আরটিআই করে অভিযোগ কী অবস্থায় রয়েছে, তা জানতে চান।

সুবীরবাবু জানান, আরটিআই-এ ওই বিভাগের এক সহকারী কমিশনার গরফা থানার অতিরিক্ত ওসি তপন নাথকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেন। তাতেও ভাসা-ভাসা জবাব আসে। এর পরেই আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা রুজু করেন অভিযোগকারিণী। বিচারের ভার পান বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (৬)। তিনি দু’পক্ষের বক্তব্য এবং অভিযোগকারিণীর বয়ান শুনে সাব ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন। সুবীরবাবুর বক্তব্য, “ফৌজদারি আইন অনুযায়ী পুলিশ অফিসার অভিযোগকে গুরুত্ব না-দিলে যেমন মামলা হয়, তেমনই তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা, প্রমাণ নষ্ট করাও অপরাধ।”

অভিযোগকারিণীর আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের একাধিক মামলার নথি দায়রা আদালতে পেশ করে দেখান যে, এ ক্ষেত্রে মূল অভিযুক্তকে যাঁরা সাহায্য করেছেন, তাঁরাও দোষী।

police station garfa
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy