রাজারহাট এবং বিধাননগরের আসন্ন রভোটের আগে ওই এলাকায় কর্মিসভা করতে গিয়ে দলের তৃণমূল স্তরে ক্ষোভের আঁচ টের পেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তবে তা সামলেও নিলেন সহনশীল ভঙ্গিতে। বিক্ষুব্ধ কর্মীদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন— ধৈর্য ধরে সব অভিযোগ শুনতে তিনি প্রস্তুত। কিন্তু শুধু অভিযোগ করলে চলবে না। সংগঠনকে চাঙ্গা করতে কর্মীদের আন্দোলনের ময়দানে নামতে হবে।
অক্টোবরে রাজ্যের আরও কয়েকটি পুরসভায় ভোটের পরেই বেজে যাবে বিধানসভা ভোটের দামামা। তার আগে ভাঙন-বিধ্বস্ত কংগ্রেসের সংগঠনকে সক্রিয় করে তুলতে চেষ্টা করছেন প্রদেশ নেতৃত্ব। সেই প্রেক্ষিতেই রবিবার বাগুইআটির একটি বাড়িতে বিধাননগর এবং রাজারহাটের কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন অধীর। সেখানে প্রথমেই তিনি জানিয়ে দেন, কর্মীরা সকলেই প্রাণ খুলে কথা বলতে পারবেন। অধীরের আশ্বাস পেয়ে একের পর এক কর্মী ক্ষোভ উগরে দেন। সিংহভাগ কর্মীরই অভিযোগ, নেতাদের সারা বছর এলাকায় কাজের সময় পাওয়া যায় না। শুধু ভোটের আগে তাঁরা উদয় হন। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা অরুণাভ ঘোষ এবং দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি তাপস মজুমদার।
অধীর অবশ্য বলেন, তিনি কর্মীদের সব অভাব-অভিযোগ শুনতেই এসেছেন। একই সঙ্গে দলীয় কর্মীদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, অন্যরা কে কী করছে না করছে এবং শাসক তৃণমূল কত মারছে— তার বিবরণ দিলে সংগঠন মজবুত হবে না। তার জন্য চাই জনভিত্তি। সেই লক্ষ্যেই স্থানীয় স্তরে মানুষের ছোটখোটো সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। ক্ষুব্ধ কর্মীদের অরুণাভবাবু বলেন, দলের স্বার্থে অপছন্দের নেতার সভাতেও যেতে হবে। তিনি আরও জানান, বিধাননগরের ভোটে টিকিট পাবেন না বুঝে তৃণমূলের অনেকেই যোগাযোগ করছেন। নিজেদের পুরনো কর্মীদের বঞ্চিত না করে তাঁদের কথা ভাবার জন্য অধীরকে অনুরোধ করে অরুণাভবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy