দখলদারদের চিহ্নিত করতে না পারলে আদিগঙ্গাকে বাঁচানো মুশকিল। ফাইল চিত্র।
আদিগঙ্গার দু’পাড়ে দখলদারদের চিহ্নিত করার কাজ ঠিক ভাবে হয়নি। সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে দখলদারদের চিহ্নিত করতে না পারলে আদিগঙ্গাকে বাঁচানো মুশকিল। জাতীয় পরিবেশ আদালতের কাছে হলফনামা জমা দিয়ে এমনটাই জানালেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। আদিগঙ্গা মামলায় সুভাষবাবুকে আদালতবান্ধব হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। আদিগঙ্গার বর্তমান অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করে আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তিনি। আজ, শুক্রবার জাতীয় পরিবেশ আদালতে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
এ প্রসঙ্গে সুভাষবাবু বলেন, ‘‘শুধু বেআইনি দখলদারই নয়, আদি গঙ্গার একাংশ বুজিয়ে রাস্তাও তৈরি করা
হচ্ছে। এ ধরনের কাজের ফলে আদিগঙ্গার অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়েছে।’’ এর আগে ‘ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা’ (এনএমসিজি)-র তরফেও আদিগঙ্গার দু’পাড়ে বেআইনি দখলদারদের প্রসঙ্গই তোলা হয়েছিল। দখলদারদের কারণেই আদিগঙ্গা সংস্কারের কাজ বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে, নিজেদের রিপোর্টে তা স্পষ্ট জানিয়েছিল এনএমসিজি। যে ভাবে ওই বসতি থেকে মলমূত্র, আবর্জনা এসে আদিগঙ্গায় প্রতিনিয়ত মিশছে, তাতে দূষণের মাত্রা ক্রমশ যে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা একাধিক রিপোর্টে ইতিমধ্যেই
উঠে এসেছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৩০০টি বেআইনি দখলদার পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুর আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, বেআইনি দখলদারদের সমস্যা শুরু থেকেই রয়েছে। কিন্তু ‘রাজনৈতিক’ কারণে অনেক সময়েই উচ্ছেদ করা সম্ভব হয় না। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘আদিগঙ্গার দু’ধারে তো বসতি এক দিনে গড়ে ওঠেনি। তাই তা সরাতে সময় লাগছে। তবে এ ব্যাপারে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মতোই কাজ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy