Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Firecrackers

বাজির দূষণ ঠেকাতে জোর সচেতনতায়

পর্ষদের সদস্য-সচিব রাজেশ কুমার জানান, প্রতি ঘনমিটারে পিএম ১০-এর মাত্রা যেখানে ১০০ মাইক্রোগ্রাম থাকার কথা, গত দীপাবলিতে তা ছিল হাজারের উপরে।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২০ ০২:১৮
Share: Save:

বাজি ফাটানোর জন্য গত বছর দীপাবলিতে শহরের বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার (পিএম ১০) পরিমাণ সহনমাত্রার প্রায় দশ গুণ বেশি ছিল। আর অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম ২.৫) ছিল সহনমাত্রার প্রায় ১২ গুণ বেশি। করোনা পরিস্থিতিতে এর পুনরাবৃত্তি হলে যে পরিবেশের উপরে মারাত্মক প্রভাব পড়বে, সেই সম্পর্কে স্কুলপড়ুয়াদের সচেতন করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে জানাল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

পর্ষদের সদস্য-সচিব রাজেশ কুমার জানান, প্রতি ঘনমিটারে পিএম ১০-এর মাত্রা যেখানে ১০০ মাইক্রোগ্রাম থাকার কথা, গত দীপাবলিতে তা ছিল হাজারের উপরে। আর পিএম ২.৫-এর মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ছিল ৭০০ মাইক্রোগ্রামের বেশি। যেখানে তার সহনমাত্রা ৬০ মাইক্রোগ্রাম। রাজেশবাবুর কথায়, ‘‘শীতে কী ভাবে বাতাসের মান নামতে থাকে, তা বলার পাশাপাশি করোনার সময়ে যে কোনও বাজি ফাটালেই যে বিপদ অনিবার্য, সে সম্পর্কে পড়ুয়াদের সচেতন করা হয়েছে।’’

যদিও পরিবেশকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, বাজারে বাজির কেনা-বেচা বন্ধ করতে না পারলে হাজারো সচেতনতা কর্মসূচিতেও লাভ হবে না। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে অবশ্য এ দিন দাবি করা হয়েছে, যে সব জায়গা থেকে গত বছর বাজি সংক্রান্ত সব চেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছিল, সেই এলাকার থানাকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। গত বছর নিয়ম ভেঙে বাজি ফাটানোর জন্য ১৫টি ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এ বার প্রয়োজনে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Firecrackers Awareness Pollution Kali Puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE