আমিরউদ্দিন ববির হোটেল থেকে বেরোলেন আয়কর দফতরের কর্তারা। নিজস্ব ছবি।
দীর্ঘ ৩৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশির পর অবশেষে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ সদস্য আমিরউদ্দিন ববির হোটেল থেকে বেরোলেন আয়কর দফতরের কর্তারা। বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ তৃণমূল নেতার ১৭৯, এজেসি বোস রোডের ঠিকানায় হানা দিয়েছিলেন আধিকারিকরা। তার পর থেকে যে ম্যারাথন তল্লাশি শুরু হয়েছিল, তা শেষ হয় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪৫ নাগাদ।
বুধবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে আয়কর দফতর। আয়কর দফতরের হানায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শাসকদল তৃণমূলের বিধায়ক জাকির হোসেনের বিড়ি কারখানা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। সেই আবহে আমিরউদ্দিনের বাড়িতে বৃহস্পতিবার দিনভর তল্লাশি অভিযান চলায় বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলেই জল্পনা তৈরি হয়। তবে মেয়র পারিষদের হোটেল থেকে কোনও নগদ অর্থ উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। তবে আয়কর দফতর সূত্রে দাবি, রিপন স্ট্রিটের ওই হোটেলের নথিপত্র খতিয়ে দেখে আধিকারিকেরা জানতে পেরেছেন, সেখানকার বিদ্যুতের বিল আমিরের নামে রয়েছে।
কলকাতার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আমিরউদ্দিন। এই তল্লাশি নিয়ে এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকিরের বিড়ি কারখানা, গোডাউন এবং দফতর থেকে ১৫ কোটি টাকা মিলেছে। এ নিয়ে জাকিরের বক্তব্য, ‘‘আমার কাছে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন রকমের ব্যবসা রয়েছে। কৃষিক্ষেত্রের যে ব্যবসার সঙ্গে আমি জড়িত সেখানে সমস্ত লেনদেন নগদে হয়। এর পাশাপাশি, শ্রমিকদের বেতনও নগদে দিতে হয়। সে কারণেই রাইস মিলে কিছু নগদ টাকা রাখা ছিল। ওই টাকার একটা অংশ যাঁরা আমাকে ধান বিক্রি করেছিলেন তাঁদের প্রাপ্য।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি থেকে যত টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে তার অনেকটাই মহিলাদের জমানো টাকা। এর ফলে বহু শ্রমিক এবং কৃষকদের তিনি সময় মতো প্রাপ্য মেটাতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন। এ নিয়ে তিনি আইনি পথে এগোবেন বলেও জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy