চিংড়িঘাটা মোড়ে দু’টি স্তম্ভ নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করতে চান মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। প্রতীকী ছবি।
নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পে চিংড়িঘাটা মোড়ে দু’টি স্তম্ভ নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করতে চান মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এ জন্য কলকাতা পুলিশকে চিঠি দিয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, উৎসবের মরসুম শেষ হলেই চিংড়িঘাটা মোড়ে ইএম বাইপাসে রাস্তার মাঝখানে একটি এবং বিধাননগরের দিকে আরও একটি স্তম্ভ নির্মাণের অনুমতি দেবে কলকাতা পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, মেট্রোর নির্মাণ সংস্থা ‘রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড’ (আরভিএনএল) চিংড়িঘাটা মোড়ের মাঝে স্তম্ভ নির্মাণের অনুমতি চেয়ে পুজোর আগেই পুলিশের কাছে আবেদন করেছিল। পুলিশের তরফে ওই অনুমতি দেওয়া হয়নি। এক পুলিশকর্তা জানান, মেট্রোর চিঠি প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে পাঠানো হয়েছে। সবুজ সঙ্কেত এলেই মেট্রোকে জানানো হবে।
পুলিশি সূত্রের খবর, এমনিতেই ওই রাস্তা দিয়ে ব্যস্ত সময়ে এত বেশি গাড়ি চলে যে, যানবাহনের স্বাভাবিক গতি রুদ্ধ হয়। এ দিকে, নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর ওই স্তম্ভ নির্মাণ শুরু হলে সংশ্লিষ্ট মোড়ের বড় অংশ ঘিরে ফেলা হবে। পুলিশের একাংশের আশঙ্কা, তখন চিংড়িঘাটা মোড় সংলগ্ন বাইপাস এবং সেক্টর ফাইভের রাস্তা যানজটের কবলে পড়বে। তবে সংশ্লিষ্ট মোড়ের দু’পাশের সম্প্রসারিত রাস্তা দিয়ে সেই সময়ে গাড়ি চলবে। ওই স্তম্ভের কাজের জন্য যানজট ঠেকাতে দু’দিকের ওই রাস্তা আগেভাগেই সম্প্রসারিত করা হয়েছে। এমনকি, দু’দিকে নতুন করে তৈরি হয়েছে ফুটপাত। সল্টলেকের দিকের খালের উপরেও বানানো হয়েছে সেতু। ওই কাজ শুরু হলেই চিংড়িঘাটা মোড়ের সংযোগকারী রাস্তা ক্যানাল সাউথ রোড এবং চাউলপট্টি রোড একমুখী করা হবে। চাউলপট্টি রোড দিয়ে সব গাড়ি চিংড়িঘাটা মোড়ের দিকে যাবে। ক্যানাল সাউথ রোড দিয়ে চিংড়িঘাটা মোড় থেকে ট্যাংরার দিকে গাড়ি যাবে।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, স্তম্ভ নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হলে কী ভাবে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সেটা স্থির করতে একাধিক বার ওই রাস্তায় মহড়া দিয়ে দেখা হয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশের একটি অংশের আশঙ্কা, কাজ শুরু হলে চিংড়িঘাটা মোড় সংলগ্ন বাইপাসে যানজটের সম্ভাবনা থাকছেই। যার মূল কারণ, ওই মোড়ের এক দিকের রাস্তা অন্য অংশের তুলনায় অনেকটাই সঙ্কীর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy