ফাইল ছবি
এ বার ক্যাট (সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল)-এর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে গেলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে মামলা স্থানান্তর নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জয় পেয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই রায় খারিজ করে দেয়। শীর্ষ আদালত বলে ‘ক্যাট’-এর দিল্লির প্রিন্সিপাল বেঞ্চের কোনও সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারে না কলকাতা হাই কোর্টের মতো অন্য রাজ্যের আঞ্চলিক আদালত। পাশাপাশি বিচারপতি সি টি রবিকুমার বলেন, চাইলে ‘সংশ্লিষ্ট রাজ্যের আদালতে’ অর্থাৎ দিল্লি হাই কোর্টে ‘ক্যাট’-এর দিল্লির প্রিন্সিপাল বেঞ্চের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে পারেন আলাপন। সেই নির্দেশ মতো দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করলেন আলাপন।
অবসরের ঠিক আগে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ সাময়িক বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বর্ধিত সময়সীমা পর্যন্ত কাজ করেননি আলাপন, বরং নির্দিষ্ট দিনেই (৩১ মে, ২০২১) রাজ্যের মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেন তিনি। এর পর আলাপনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রের কর্মিবর্গ মন্ত্রক।
অবসরের ঠিক আগে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ সাময়িক বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বর্ধিত সময়সীমা পর্যন্ত কাজ করেননি আলাপন, বরং নির্দিষ্ট দিনেই (৩১ মে, ২০২১) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেন তিনি। এর পর আলাপনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্রের কর্মিবর্গ মন্ত্রক।
ওই তদন্ত খারিজের দাবিতে ক্যাট-এর কলকাতা বেঞ্চের দ্বারস্থ হন আলাপন। কিন্তু সেখানে কোনও স্থায়ী সমাধান হওয়ার আগে ২২ অক্টোবর মামলাটি দিল্লিতে স্থানান্তর হয়ে যায়। কলকাতা থেকে সরিয়ে দিল্লিতে শুনানি করার ক্যাট-এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আলাপন। তাঁর আবেদনে সম্মতি দিয়ে গত ২৯ অক্টোবর বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের অবসরকালীন ডিভিশন বেঞ্চ ক্যাট-এর শুনানি দিল্লিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে।
কলকাতা হাই কোর্টের এই রায়কে ‘এক্তিয়ার বহির্ভূত’ বলে অভিযোগ করে সুপ্রিম আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy