দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় জেল হেফাজতে থাকা চার অভিযুক্তের ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারক বিভাগীয় বিচারক। শুক্রবার মামলার তদন্তকারী অফিসার জেল হেফাজতে থাকা অন্যতম মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং জইব আহমেদের দু’দিনের পুলিশের হেফাজত এবং কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন দিনের পুলিশে হেফাজতের আবেদন করেন। বিচারক ৫ অগস্ট পর্যন্ত চার অভিযুক্তের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রের খবর। পুলিশ হেফাজতের আবেদনের শুনানি ৫ আগস্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।
সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল বলেন, ‘‘সম্প্রতি কয়েকটি ফরেন্সিক রিপোর্ট তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সেই কারণে ফের ওই চারজনকে জেরা করার প্রয়োজন।’’ অভিযুক্তদের আইনজীবী রাজু গঙ্গোপাধ্যায় এবং দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য পুলিশি হেফাজতের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন। তাঁরা জানান, অভিযুক্তদের ফের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা নেই। পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্তদের উপর চাপ সৃষ্টি করে নানা লিখিত বয়ান নেওয়া হচ্ছে।’’ মনোজিতের আইনজীবীর অভিযোগ, "পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন মনোজিতকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। ডিএনএ পরীক্ষার সময় তাকে দুটি ট্যাবলেট খাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। সাদা কাগজে টিপ সই নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া গ্রেফতারির কারণ ('গ্রাউন্ড অফ অ্যারেস্ট') আদালতের নথিতে উল্লেখ করা হয়নি।'
সরকারি আইনজীবী বলেন,"সঠিক ভাবে তদন্ত হচ্ছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে সব পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।" পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার মোবাইল ফোনের কল ডিটেলস এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে এসেছে। তা ছাড়া কিছু সাক্ষীর বয়ান খতিয়ে দেখার জন্য ওই চার জনকে ফের হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। বুধবার চার অভিযুক্তকে সশরীরে আদালতে পেশ করা হয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)