কাচ ভাঙলেও যাতে তার টুকরোয় কেউ আহত না হন, তাই কলকাতা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের সমস্ত কাচ ‘ফিল্ম’ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে। এ জন্য নতুন করে ৯ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
রোদ আটকাতে গাড়ির জানলার কাচে যে ধরনের ফিল্ম লাগানো হয়, তার চেয়ে মোটা ফিল্ম ব্যবহৃত হবে বলেই ঠিক হয়েছে। দিন আটেক আগে টেন্ডার ডাকেন কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরের অধিকর্তা অতুল দীক্ষিত বলেন, ‘‘এই টেকনিকাল টেন্ডারের পরে কিছু সংস্থাকে বেছে নিয়ে ডাকা হবে আর্থিক টেন্ডার।’’
এ দিকে, সোমবার সন্ধ্যায় ইন্ডিগোর নিরাপত্তারক্ষী বিপুল দত্ত টার্মিনালের বাইরে যে দিকে বিমান দাঁড়ায়, সেই অ্যাপ্রন এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময়ে ফের কাচ ভাঙে। তার টুকরো এসে পড়ে বিপুলের মাথায়। তাঁকে হাসপাতালে নিতে হয়। গত জুলাইয়ে বিমানবন্দরের মেঝের কাচ ভেঙে একতলা থেকে বেসমেন্টে পড়ে মৃত্যু হয় সিআইএসএফ জওয়ান গৌরচরণ সিংহের।
২০১৩-র জানুয়ারিতে চালু হওয়া নতুন এই টার্মিনালের সব দেওয়াল ও মেঝের একাংশ কাচের। টার্মিনালটি তাইল্যান্ডের যে সংস্থার বানানো, তাদের দিয়ে অবশ্য কাচ লাগানো হয়নি। অভিযোগ, কাচ সরবরাহের বরাত পান কর্তৃপক্ষের পছন্দসই ব্যবসায়ী। কিন্তু টার্মিনাল চালুর আগেই তা ভাঙতে থাকে। প্রতিবারই অন্য কাচ বসিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কারণ জানতে কাচের নমুনা বিদেশেও পাঠানো হয়। অধিকর্তার কথায়, ‘‘কাচ তৈরির রাসায়নিক গঠনে গণ্ডগোল মিলেছিল।’’ সূত্রের খবর, কাচের দু’দিকের তাপমাত্রার হেরফের বাড়লেই ভাঙার সম্ভাবনা বাড়ে। সোমবার অ্যাপ্রনে যে কাচ ভাঙে, তার এক দিকে ছিল রোদের তাপ, আর টার্মিনালের ভিতরের দিক ছিল ঠান্ডা।
অতুলবাবু বলেন, ‘‘রাতারাতি সব কাচ তো বদলাতে পারব না। তাই ফিল্ম লাগানোর সিদ্ধান্ত। এতে কাচ ভাঙলেও তার টুকরো ফিল্মের মাঝে আটকে থাকবে।’’ ফিল্ম বসালে তাপমাত্রার হেরফের কমে কাচ ভাঙাও কমবে।
কাচ ভেঙে দুর্ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যেই টার্মিনালের বাইরের ঢোকা-বেরনোর প্রতিটি গেটের মাথায় পাকা ছাউনি বানানো হয়েছে। টার্মিনালে মেঝেতে যেখানে কাচ আছে, তার তলায় লোহার তারজালিও লাগানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy