E-Paper

বিবাদের জেরে ভাড়াটেকে ‘উৎখাত’

অভিযোগ, পাড়ার মহিলাদের ডেকে ভাড়াটের পোষ্য-সহ জিনিসপত্র সব বাড়ির বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কসবা থানা এলাকার পিকনিক গার্ডেনের নস্করহাটে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:০১
ঘটনাটি ঘটেছে কসবা থানা এলাকার পিকনিক গার্ডেনের নস্করহাটে।

ঘটনাটি ঘটেছে কসবা থানা এলাকার পিকনিক গার্ডেনের নস্করহাটে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

বাড়িভাড়া নিয়ে বিবাদের জেরে ভাড়াটেকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পাড়ার মহিলাদের ডেকে ভাড়াটের পোষ্য-সহ জিনিসপত্র সব বাড়ির বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কসবা থানা এলাকার পিকনিক গার্ডেনের নস্করহাটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নস্করহাটে গত আড়াই বছর ধরে একটি তেতলা বাড়ির একতলায় ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন স্কুলশিক্ষিকা মৌসুমী বিশ্বাস। মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাড়া দিতেন তিনি। কিন্তু ভাড়া নিয়ে গত মাস কয়েক ধরে ভাড়াটে এবং বাড়িওয়ালার বিবাদ শুরু হয়। যার জেরে গত কয়েক মাস ধরে বাড়ির মালিক বাড়ি ছাড়ার জন্য মৌসুমীকে চাপ দিচ্ছিলেন। মৌসুমীর ছেলে জন বিশ্বাস বলেন, ‘‘নতুন বাড়ি খুঁজে
যাওয়ার জন্য আমরা কয়েক মাস সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু এ দিন সকালে স্থানীয় মহিলাদের নিয়ে এসে ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র বার করে দিতে শুরু করেন। মাকে ধাক্কাও দেওয়া হয়।’’

ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ উড়িয়ে বাড়ির মালিক কার্তিকচন্দ্র দে-র দাবি, গত আট মাস ধরে বাড়ি ভাড়া বকেয়া রয়েছে। বিদ্যুতের বিলও বকেয়া রয়েছে। বার বার বলা হলেও সেই টাকা মেটানো তো দূর, বাড়ির ভিতরে নানা অসামাজিক কাজ চলত। কার্তিকের কথায়, ‘‘অসামাজিক কাজ করতে পাড়ার মহিলারা বার বার নিষেধ করেছেন। কিন্তু ভাড়াটেরা না শোনায় এ দিন তাঁরা প্রতিবাদ করেছেন।’’ এ দিকে ভাড়া বাকি থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভাড়ায় থাকা পরিবারটি। মৌসুমীদের দাবি, নগদে মাসের পর মাস টাকা দেওয়া হয়েছিল। তার পরিবর্তে তাঁদের কোনও রসিদ দেওয়া হয়নি। সেই সঙ্গে অসামাজিক কাজ চালানোর অভিযোগও অস্বীকার করেছে ওই পরিবার।

এ দিকে এই ঘটনার পরে বুধবার কসবা থানার দ্বারস্থ হন ভাড়াটেরা। পুলিশ যদিও ভাড়াটের কোনও অভিযোগ শোনেনি বলে দাবি। এ দিন বিকেলে সমস্যা সমাধানে দুই পক্ষকে ডেকে পাঠায় কসবা থানার পুলিশ। সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানা গিয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

complain Landlord Tenant kasba

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy