Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Fraud

অবিক্রীত টিকিট দিয়ে ৫০ কোটির লটারি জালিয়াতি

পুলিশ জানায়, গত বছর ভবানীপুরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি পুলিশে অভিযোগ করেন, কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু লটারি সংস্থা সিকিম সরকারের অবিক্রীত লটারির টিকিট নিজেদের কাছে রেখে দিছে। সরকারকে ওই অবিক্রীত টিকিটের কথা জানানো হচ্ছে না।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৪৯
Share: Save:

নিয়ম অনুযায়ী অবিক্রীত টিকিট ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু তার বদলে সেই টিকিট বিক্রি হয়েছে দেখিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ উঠল রাজ্যের একাধিক লটারি সংস্থার বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি থেকে একটি লটারি সংস্থার এক কর্তাকে গ্রেফতার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম উত্তমকুমার সাহা। আলিপুর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি জানান, বুধবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে বিচারক আট দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, গত বছর ভবানীপুরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি পুলিশে অভিযোগ করেন, কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু লটারি সংস্থা সিকিম সরকারের অবিক্রীত লটারির টিকিট নিজেদের কাছে রেখে দিছে। সরকারকে ওই অবিক্রীত টিকিটের কথা জানানো হচ্ছে না। ফলে ওই টিকিট বিক্রি হয়েছে ধরে নিয়েই লটারি খেলা হচ্ছে। তা থেকে মোটা টাকা পুরস্কার-মূল্য নিজেদের পকেটে ভরছে ওই লটারি সংস্থাগুলি। এতে যেমন বহু টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে রাজ্য সরকারের, তেমনই লটারিতে প্রাপ্ত পুরস্কারের কর থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে তারা।

তদন্তে নেমে সিকিম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ভবানীপুর থানার অফিসারেরা। গত কয়েক বছরে কে কে লটারি জিতে পুরস্কার পেয়েছেন, সেই তথ্য জানতে চান। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, সিকিম সরকার কিছু দিন আগেই পুরস্কার বিজেতাদের তালিকা প্রকাশ করেছেন। তাতেই দেখা যায়, অভিযুক্ত লটারি সংস্থার একাধিক কর্মী এবং মালিক পুরস্কার জিতেছেন। এর পরেই মঙ্গলবার শিলিগুড়ির স্টেশন ফিডার রোডে হানা দিয়ে একটি সংস্থার কর্ণধার উত্তমকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সংস্থাটি অল্প সংখ্যক টিকিট গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করত। সিকিম সরকারকে জানানোর কথা থাকলেও তাদের অন্ধকারে রেখে বিক্রি না হওয়া বাকি টিকিট রেখে দিত নিজেদের কাছে। পুরস্কার ঘোষণা হওয়ার পরে সেই টিকিটগুলি বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে দেখাত। যে টিকিটের প্রথম পুরস্কারের অঙ্ক বেশি, সেটি হস্তগত করে মোটা টাকা কামাত তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, এই জালিয়াতির ফলে পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিম, উভয় সরকারেরই রাজস্বের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, এখনও পর্যন্ত ২০১৭ সালের প্রথম ছ’মাসের হিসেব পাওয়া গিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সরকারের প্রায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fraud Lottery
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE