E-Paper

আমেরিকা থেকে কলকাতার আদালতে গোপন জবানবন্দি প্রতারিত মহিলার

কলকাতায় বসে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার নামে এক দল অভিযুক্ত প্রতারণা করেছিল আমেরিকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। তদন্তের স্বার্থে ভুক্তভোগী আমেরিকার বাসিন্দাদের বয়ান বা জবানবন্দি জরুরি ছিল।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৩০

—প্রতীকী চিত্র।

প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার নাম করে প্রতারণার মামলায় আমেরিকা থেকে কলকাতার আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন সেখানকার বাসিন্দা এক মহিলা। আদালত সূত্রের খবর, আমেরিকা থেকে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে বুধবার সন্ধ্যায় ব্যাঙ্কশাল আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সেই জবানবন্দি দিয়েছেন প্রতারিত আমেরিকান মহিলা। সূত্রের খবর, বিচারকের কাছে প্রতারণার বিবরণ দেন ওই মহিলা। পরে এ ভাবে আরও কয়েক জন প্রতারিতের থেকেও গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে।

পুলিশ জানায়, আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারাল বুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর সহায়তায় কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগ এ দিন ওই জবানবন্দির ব্যবস্থা করে। কলকাতায় বসে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার নামে এক দল অভিযুক্ত প্রতারণা করেছিল আমেরিকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। তদন্তের স্বার্থে ভুক্তভোগী আমেরিকার বাসিন্দাদের বয়ান বা জবানবন্দি জরুরি ছিল। তবে, বিদেশ থেকে কত জনের জবানবন্দি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তদন্তকারীরা।

উল্লেখ্য, এর আগে একই রকম প্রতারণার দু’টি পৃথক মামলায় প্রতারিত হয়েছিলেন আমেরিকার বাসিন্দা দুই বৃদ্ধা। সে দেশ থেকে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে গোপন জবানবন্দি দেন তাঁরা। আবার কয়েক বছর আগে সিআইডি-র একটি প্রতারণার মামলায় জার্মানির প্রতারিতেরা সে দেশ থেকে মামলা চলাকালীন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে।

লালবাজার জানিয়েছে, আমেরিকার উইনস্টনের বাসিন্দা, ৫৯ বছর বয়সি এক প্রৌঢ়া এ দিন যে মামলায় ভিডিয়ো কলে জবানবন্দি দিয়েছেন, সেই মামলার অভিযোগ কলকাতা পুলিশের কাছে এসেছিল এফবিআই মারফত। যার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা গত মাসে শিয়ালদহের একটি বহুতলে হানা দিয়ে বেআইনি কল সেন্টারের ১১ জনকে গ্রেফতার করেন। যারা আমেরিকার বাসিন্দাদের প্রতারিত করত।

সেই ঘটনায় পলাতক ছিল দুই অভিযুক্ত। যাদের এক জন চক্রের মাথা। পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত কেশব হোসেনকে মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দারা ওড়িশার খুরদা থেকে গ্রেফতার করেন। তার বাড়ি তপসিয়ায়। কেশবকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয়েছে সঙ্গী মহম্মদ জিশানকেও। কেশবের বাড়িতে হানা দিয়ে কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার ট্রানজ়িট রিমান্ডে তাদের কলকাতায় নিয়ে আসার কথা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

court case america

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy