নিউ টাউনে ফের এক সিন্ডিকেট চাঁইকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ। ধৃতের নাম বাহার আলি লস্কর। রবিবার বিকেলে তাঁকে ধরা হয়। এলাকায় তিনি স্থানীয় বিধায়ক তথা বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
ধৃতের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, হুমকি, দৌরাত্ম্যের একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। বাহারের গ্রেফতারি নিয়ে বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও এ দিন ধৃতের সমর্থনে নিউ টাউন থানায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ জানান বাহারের কিছু সমর্থক। এমনকী পুলিশ সূত্রের দাবি, রাতে রাজারহাটের একটি পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ থানায় গিয়ে এই গ্রেফতারি নিয়ে তাঁদের ক্ষোভও জানান।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, আগে বাহার বামেদের সঙ্গে থাকলেও পরে তৃণমূলে যোগ দেন। এলাকায় তিনি সক্রিয় তৃণমূলকর্মী এবং বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
কয়েক বছর আগে নিউ টাউনে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছিল। তখন বাহারের নাম সামনে আসে। বালিগুড়ি ও লস্করহাটি এলাকায় দোকান, বাজার, সিন্ডিকেটের রাশ বাহারের হাতে বলেই তদন্তে জেনেছে পুলিশ।
সিন্ডিকেট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশের পরে পুলিশের ধরপাকড় আরও বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য-তোলাবাজির ঘটনায় রাজারহাট-নিউ টাউন থেকে প্রায় ৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবুও ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের রাশ এখনও সিন্ডিকেটের হাতেই। ফলে আপাতদৃষ্টিতে নিউ টাউনে শান্তি এলেও তা ক্ষণস্থায়ী বলেই দাবি ব্যবসায়ী মহলের।
স্থানীয় বিধায়ক তথা বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত বরাবর সিন্ডিকেটের পক্ষে সওয়াল করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে পুলিশের সক্রিয়তা আরও বেড়েছে। সম্প্রতি সিন্ডিকেট চাঁই গফ্ফর আলি মোল্লার গ্রেফতারি তার সংযোজনমাত্র। এর পরেই এ দিনের গ্রেফতারি।
যদিও স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, পুলিশ অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে। আইনের নামে যাকে পারছে, তাকেই ধরছে পুলিশ।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। বাহারের ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy