তাঁর বিরুদ্ধে ছিল পাঁচটি মামলা। জামিন পেলেন মাত্র দু’টিতে। বাকি তিনটি মামলায় জামিন না পেয়ে চলে গেলেন পুলিশ হেফাজতে। অবশ্য তাতেই আদালত কক্ষের ভিতরে আনন্দে ফেটে পড়লেন সেই ‘দাদা’-র অনুগামীরা। হৈ হৈ করে বাইরে বেরিয়ে এসে চলল মিষ্টি বিতরণ।
শনিবার দুপুরে কলুটোলা লেনের সামনে থেকে কাশীপুরের তৃণমূল নেতা আনোয়ার খানকে মোট পাঁচটি মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর থেকে বেশ কিছুটা মনমরা ছিলেন অনুগামীর দল। শনিবার বিকেলে এলাকায় গেলে আনোয়ারের পরিবারের লোকজন-সহ অনেকেই ‘আনোয়ারকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে’ বলে দাবি তুলেছিলেন। রবিবার শিয়ালদহ আদালতে আনোয়ার খানকে হাজির করা হলে পুলিশের পিছনে আরও কিছু গা়ড়িতে হাজির হন তাঁর অনুগামীরা।
ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম বিচারক মধুমিতা চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে এ দিন আনোয়ারের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন তিন আইনজীবী মহম্মদ সাজিদ, অসীম কুমার ও অনিন্দ্য রাউত। অন্য দিকে, সরকারি আইনজীবী না থাকায় সওয়াল করেন কোর্ট ইনস্পেক্টর ভগীরথ ঘোষ।
সওয়ালের শুরুতেই প্রথম মামলাটিতে আনোয়ার জামিন পেয়ে যান। তার পরে শুরু হয় ২০১৫-এর ১৫ এপ্রিল কাশীপুর উদ্যানবাটির সামনে বোমাবাজির মামলা। আনোয়ারের আইনজীবী মহম্মদ সাজিদ বলেন, ‘‘এই মামলায় বহুদিন আগে পুলিশ চার্জশিট পেশ করেছে। ১৮ জন অভিযুক্তের সকলেই জামিন পেয়েছে। তদন্তের প্রয়োজন দেখিয়ে আনোয়ারকে আটকে রাখার মানে হয় না।’’ এই মামলাতেও বিচারক আনোয়ার খানের জামিন মঞ্জুর করেন। বাকি তিনটি মামলায় (বোমা উদ্ধার, ছিনতাই, শ্লীলতাহানি) জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচারক আনোয়ারকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
এই ঘোষণার পরে আদালত কক্ষেই আনন্দে ফেটে পড়েন আনোয়ারের অনুগামীরা। আইনজীবীকে অভিনন্দন জানানোর সঙ্গে চলে মিষ্টি বিতরণ।
কিন্তু এখনও তো তিনি জেলে। তা হলে এত আনন্দ কেন? আনোয়ারের শ্যালক রমজান বলেন, ‘‘আরে দাদা বাকি সব পেটি কেস। জামিন হয়ে যাবে। কাশীপুরের বোমাবাজির মামলা নিয়েই আমাদের টেনশন ছিল। এ বার জমিয়ে ভোট করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy