Advertisement
E-Paper

Tuberculosis: শিশুদের যক্ষ্মার চিকিৎসায় পূর্বাঞ্চলের উৎকর্ষ কেন্দ্র পিজি

সদ্যোজাত শিশু থেকে ১৪ বছর বয়সি পর্যন্ত যক্ষ্মা রোগীরা ওই উৎকর্ষ কেন্দ্রে চিকিৎসা পাবে।

শান্তনু ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২১ ০৫:৫২
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

যক্ষ্মায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় এ বার পূর্বাঞ্চলের উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হল এসএসকেএম হাসপাতাল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শুধু প্রবীণেরাই নন, যক্ষ্মায় নিয়মিত আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। সেই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতেই শিশুদের যক্ষ্মার চিকিৎসায় জোর দিতে চাইছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই কারণেই এ বার জাতীয় যক্ষ্মা দূরীকরণ প্রকল্পে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো পূর্বাঞ্চলেও একটি উৎকর্ষ কেন্দ্র চালু হল। সদ্যোজাত শিশু থেকে ১৪ বছর বয়সি পর্যন্ত যক্ষ্মা রোগীরা ওই উৎকর্ষ কেন্দ্রে চিকিৎসা পাবে।

এর জন্য এসএসকেএমের শিশু-রোগ বিভাগে আলাদা করে কয়েকটি শয্যাও রাখা হয়েছে। ওই হাসপাতালের শিশু-মেডিসিন বিভাগের প্রধান সুপ্রতিম দত্ত-সহ মোট আট জন চিকিৎসক, স্নায়ু রোগের দুই চিকিৎসক, বক্ষ রোগের ছ’জন চিকিৎসক এবং মাইক্রোবায়োলজি ও রেডিয়োলজি বিভাগের এক জন করে চিকিৎসক মিলিয়ে মোট ১৮ জনের একটি কমিটিও তৈরি হয়েছে। রাজ্যের এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, ‘‘খুব শীঘ্রই ওই কমিটিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।’’

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, দেশের পূর্বাঞ্চলে শিশুদের যক্ষ্মার চিকিৎসায় এসএসকেএম হচ্ছে একটি ‘হাব’ বা প্রধান কেন্দ্র। আর তার ‘স্পোক’ বা অনুসারী কেন্দ্র হিসেবে থাকছে আরও চারটি রাজ্যের (বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও ছত্রীসগঢ়) সমস্ত সরকারি হাসপাতাল। ওই চার রাজ্যে শিশুদের যক্ষ্মার চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজটি করবে এসএসকেএমের ১৮ জন চিকিৎসককে নিয়ে তৈরি একটি কমিটি। পাশাপাশি, অনলাইনে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে উৎকর্ষ কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে ওই চার রাজ্যের চিকিৎসকেরা যক্ষ্মায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন।

ভিন্ রাজ্যের চিকিৎসকদের পরামর্শ দেওয়াই শুধু নয়, টেলি-মেডিসিন পদ্ধতিতে ওই সমস্ত রাজ্যের যক্ষ্মায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসাও করবেন উৎকর্ষ কেন্দ্রের চিকিৎসকেরা। তবে যক্ষ্মায় আক্রান্ত কোনও শিশুর খুব বিরল কোনও সমস্যা দেখা দিলে ভিন্ রাজ্য থেকে তাকে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হবে। এ ছাড়া, পূর্বাঞ্চলে শিশুদের যক্ষ্মা নিয়ে গবেষণার কাজও হবে এই কেন্দ্রে। এ সবের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ এবং ওই চারটি রাজ্যে শিশুদের চিকিৎসায় যুক্ত ডাক্তারদের চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনও রকম পরামর্শ প্রয়োজন হলে তা-ও অনলাইনে দিয়ে সহযোগিতা করবে পিজি-র ওই ১৮ জন চিকিৎসকের কমিটি।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতিতে যক্ষ্মা দূরীকরণে চিকিৎসার পাশাপাশি স্বাস্থ্য-বিধি মেনে চলার উপরেও জোর দিচ্ছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। জাতীয় যক্ষ্মা দূরীকরণ প্রকল্পে ইতিমধ্যেই রাজ্যে ২৫০ টাকার বিনিময়ে বিশেষ কিট দেওয়ার
ব্যবস্থা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বক্ষরোগ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, যক্ষ্মায় আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই অনেক কম থাকে। তার উপরে করোনায় আক্রান্ত হলে সমস্যা জটিল আকার নেয়। পাশাপাশি, যক্ষ্মা রোগীর ড্রপলেট থেকে ওই রোগের ছড়ানোর আশঙ্কাও প্রবল। তাই তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই যক্ষ্মা রোগীদের সুরক্ষায় জোর দেওয়া শুরু হয়েছে।

Tuberculosis SSKM
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy