E-Paper

বৃষ্টিতেও নির্বিঘ্নে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা দমদমের তিনটি-সহ চার পুরসভা এলাকায়

চার পুরসভার ২০টিরও বেশি জলাশয় এবং খালে প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি প্রতিমা বিসর্জন হওয়ার কথা। বিসর্জন ঘিরে কয়েক হাজার মানুষের সমাগমের কথা বিবেচনায় রেখে জলাশয় সংলগ্ন এলাকায় পরিচ্ছন্নতা এবং মশা নিয়ন্ত্রণের কাজেও জোর দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৫ ১০:২২
প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা হয়েছে নিউ ব্যারাকপুর এবং দমদমের তিনটি পুরসভা এলাকায়।

প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা হয়েছে নিউ ব্যারাকপুর এবং দমদমের তিনটি পুরসভা এলাকায়। —প্রতীকী চিত্র।

বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আগেই। নবমী থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। দশমী হয়ে একাদশী পর্যন্ত মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হয়ে চলেছে। সে কথা মাথায় রেখেই প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা হয়েছে নিউ ব্যারাকপুর এবং দমদমের তিনটি পুরসভা এলাকায়। সরকারি নির্দেশিকা মেনে নিরঞ্জনের পরে দ্রুত কাঠামো তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে ওই চার পুরসভা।

চার পুরসভার ২০টিরও বেশি জলাশয় এবং খালে প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি প্রতিমা বিসর্জন হওয়ার কথা। বিসর্জন ঘিরে কয়েক হাজার মানুষের সমাগমের কথা বিবেচনায় রেখে জলাশয় সংলগ্ন এলাকায় পরিচ্ছন্নতা এবং মশা নিয়ন্ত্রণের কাজেও জোর দেওয়া হয়েছে।

ওই সব ঘাটে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি, পুরসভাগুলি প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে দ্রুত কাঠামো তোলার জন্য প্রশিক্ষিত কর্মী মজুত করেছে। সেখানে রয়েছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, পর্যাপ্ত আলো, ডাক্তারি শিবির। এ ছাড়াও রয়েছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। উপস্থিত রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরাও।

নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবীর সাহা জানান, নিউ ব্যারাকপুরে নোয়াই খাল-সহ প্রায় সাতটি জলাশয়ে দুই শতাধিক প্রতিমার নিরঞ্জন হয়। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীঘাটে কার্নিভালে অংশ নিচ্ছেন পুজোর আয়োজকেরা। শোভাযাত্রা সহকারে ঘাটে গিয়ে তার পরে প্রতিমা বিসর্জন হচ্ছে সেখানে।

উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, জলাশয় সংলগ্ন জায়গায় মশা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জল যাতে দূষিত না হয়, সে দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হচ্ছে।

দমদমে ধোবিয়াপুকুর, পঞ্চায়েত পুকুর, দক্ষিণ দমদমের দেবীঘাট, উত্তর দমদমের বকুলতলা, সূর্যগঙ্গা ঘাট-সহ আরও কয়েকটি জলাশয়ে বৃহস্পতিবার থেকেই চলছে বিসর্জন। দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, প্রতিমার কাঠামো দ্রুত জল থেকে তোলার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।

তবে বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই জল জমতে শুরু করেছে কিছু জায়গায়। সেটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। তবে জমা জল বার করে দেওয়ার ক্ষেত্রেও পদক্ষেপ করা হবে বলে দাবি পুরসভাগুলির।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

dumdum Immersion

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy