লণ্ডভণ্ড: চুরির পরে। নিজস্ব চিত্র
ঘুমের ওষুধ স্প্রে করে চুরি হয়ে গেল পাশাপাশি দু’টি বাড়িতে। নগদ ও গয়নাগাটি মিলিয়ে খোয়া গিয়েছে লক্ষাধিক টাকার জিনিস। শুক্রবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে লিলুয়ার মাঝেরহাট এলাকার বালি চামরাইল রোডে। পুলিশ জানায়, ঘুমের ওষুধ এতটাই জোরালো ছিল যে, শনিবার সকাল দশটা পর্যন্ত ঘুম ভাঙেনি ওই পরিবারের কয়েক জনের। যার মধ্যে একটি দশ মাসের শিশুও রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পাশাপাশি দু’টি বাড়িতে থাকেন প্রশান্ত বণিক ও গৌতম দাস। দু’জনেই সম্প্রতি ওই এলাকায় এসেছেন। পেশায় ব্যবসায়ী প্রশান্তবাবু জানান, সে দিন রাত ১২টার পরে শুতে যান তিনি। ঘুম ভাঙে পরের দিন অনেক বেলায়। উঠে দেখেন, তাঁর ও ভাইয়ের ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। তিনি চিৎকার করে লোকজন ডেকে দরজা খোলেন। বাইরে বেরিয়ে দেখেন, পাশে ঠাকুরঘরের দরজা খোলা। ওই ঘরের আলমারি ও লকারও খোলা পড়ে। আর সেখান থেকে উধাও নগদ ৪০ হাজার টাকা ও সমস্ত সোনার গয়না। প্রশান্তবাবু জানান, বাড়িতে ঢুকে চোর আলমারির লকার ভেঙেছে। তা সত্ত্বেও কিছু টের পাননি তাঁরা।
একই অবস্থা পাশের বাড়ির বাসিন্দা গৌতম দাসের। পুলিশ জানায়, সস্ত্রীক গৌতমবাবু এক মেয়ে ও দশ মাসের শিশুপুত্রকে নিয়ে থাকেন। তাঁদেরও ঘুম ভাঙে বেলা দশটার পরে। তা-ও এলাকার এক বাসিন্দা তাঁদের সদর দরজা খোলা দেখে ভিতরে ঢুকে ডাকাডাকির পরে। গৌতমবাবু জানান, উঠে দেখেন আলমারি লণ্ডভণ্ড। চুরি গিয়েছে নগদ টাকা ও সমস্ত সোনার গয়না। এমনকী, ব্যাঙ্কের পাসবুক, এটিএম কার্ড ও একটি মোবাইল ফোনও নিয়ে যায় চোরেরা।
গৌতমবাবু বলেন, ‘‘আমাদের ঘুম ভাঙলেও ঘুমের ওষুধের প্রভাবে আমার ১০ মাসের ছেলের ঘুম ভাঙে বেলা ১২টায়। তার পরেও ও আচ্ছন্ন মতো হয়ে রয়েছে।’’
এ ভাবে দু’টি বাড়িতে একই কায়দায় চুরির খবরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় এত বড় চুরির ঘটনা আগে ঘটেনি। পুলিশ তদন্তে আসে। গৌতমবাবুর বাড়ি থেকে একটি শিশি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিত তদন্তের পরে পুলিশের সন্দেহ, ওই শিশিতেই ছিল ঘুমের ওযুধ। সেটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy