তাঁরা বাগড়ি মার্কেটের অন্যতম অংশীদার। কিন্তু আইন অনুযায়ী বাজারের দোকান মালিকদেরও অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক রাখার দায়িত্ব রয়েছে বলে আদালতে যুক্তি খা়ড়া করলেন রাধা বাগড়ি ও বরুণরাজ বাগড়ি। বাগড়ি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে রাধা ও বরুণরাজ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকারের অবসরকালীন আদালতে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। সেই শুনানিতে ওই যুক্তি দেন অভিযুক্ত রাধা ও বরুণরাজের আইনজীবী তীর্থঙ্কর ঘোষ।
ওই আইনজীবী আরও যুক্তি দেন, তাঁর মক্কেলদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর। তদন্ত শুরু হতে না হতেই পুলিশ পরের দিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে আবেদন জানায় রাধা ও বরুণরাজের বিরদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার। আইনজীবী অভিযোগ করেন, তদন্ত নয়, তাঁর মক্কেলদের গ্রেফতার করাই পুলিশের উদ্দেশ্য।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সওয়ালে জানান, পুলিশ অভিযুক্তদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের হদিস পায়নি। তাঁরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তদন্ত সহযোগিতাও করছেন না। একই সঙ্গে কিশোরবাবু আদালতে জানান, অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক করার জন্য অভিযুক্তেরা দোকান মালিকদের কাছ থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা তুলেছেন। কিন্তু সেই টাকা অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক করতে কাজে লাগানো হয়নি।
দু’পক্ষের সওয়াল শুনে বিচারপতি শম্পা সরকার জানিয়ে দেন, তিনি অবসরকালীন আদালতে বসেছেন। জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন না তিনি। যে বিচারপতির আদালতে মামলাটির শুনানি ধার্য থাকার কথা, পুজোর ছুটি শেষ হলে সেই আদালতই মামলাটি শুনবে।